সুনামগঞ্জে আরেক নারী করোনায় আক্রান্ত

13

একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে (পরীক্ষাগার) ৬ষ্ঠ দিনের পরীক্ষায় আরও এক নারীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের সদর উপজেলায়।
সোমবার ১৩ এপ্রিল সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাব সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়- ৬ষ্ঠ দিন মোট ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে এক নারীর করোনা পজেটিভ এসেছে। নেগেটিভ এসেছে বাকিদের।
এদিকে নতুন আক্রান্ত হওয়া ওই নারী প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। তাঁর সংস্পর্শে আসা সদর হাসপাতালের একজন গাইনি চিকিৎসক ও চারজন নার্সের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
গ্রামের একাধিক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী নারায়ণগঞ্জ জেলায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গত সপ্তাহে তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। তাই স্বামীর মাধ্যমেই ওই নারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে সবার ধারণা।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শামস উদ্দিন বলেন, তাঁরা বিষয়টি প্রশাসনের লোকজনকে অবগত করেছেন। তাঁরা ওই নারীর স্বামীসহ বাড়ির ও আশপাশের লোকজনকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করার ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন। আরএমও রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালের যাঁরা ওই নারীর সংস্পর্শে গিয়েছিলেন, এমন একজন চিকিৎসক ও চারজন নার্সকে হোস কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই নারীর পরিবারের লোকজন এ বিষয়ে আমাদের কোনো কিছু বলেনি। এ কারণে আমরা সমস্যায় পড়েছি।’
এদিকে করোনা ভয়াবহতায় এগিয়ে গেছে সুনামগঞ্জ। এর আগে পঞ্চম দিনের পরীক্ষায় সুনামগঞ্জের আরও এক নারীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায়। এ দিয়ে সুনামগঞ্জ করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুজন। এর আগে ৭ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলোজি বিভাগে স্থাপিত করোনা ভাইরাস পরীক্ষার বিশেষায়িত পলিমার্স চেইন রিঅ্যাকশান (পিসিআর) ল্যাবে কোভিড-১৯ পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম দিন ৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবকটি পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনও ২৪ জনের করোনা শনাক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে এবং তৃতীয় দিনও ৪৮ এবং চতুর্থ দিনের ৪৮ রিপোর্টও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে পঞ্চম দিন ৯৪ জনের মধ্যে একজন ও ৬ষ্ঠ দিনেও ৯১ জনের মধ্যে একজনের করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে।