প্রধানমন্ত্রীর সাথে জিরা প্রেসিডেন্ট সাতশী ওনডার সৌজন্য সাক্ষাৎ ॥ বিদ্যুৎ খাতে জাপানী বিনিয়োগের আহ্বান

17
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে JERA Co.Inc Gi President Mr. Satoshi Onoda সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী জাপানী ভাষায় অনুদিত “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী” বইটি President Mr. Satoshi Onoda কে উপহার দেন।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আরও জাপানী বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে। কাজেই চাহিদা পূরণের জন্য আমাদের এ খাতে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সোমবার অপরাহ্নে তার কার্যালয়ে (পিএমও) জাপানের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান জিরা কো. ইঙ্কের (জেইআরএ) কোম্পানি সভাপতি সাতশী ওনডা সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব সাংবাদিকদের বৈঠক সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে জিরাসহ বিভিন্ন জাপানী কোম্পানির বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বৈঠকে দেশের বিদ্যুৎ খাতের সম্প্রসারণে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপেরও উল্লেখ করেন। জিরা প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, তাদের কোম্পানি জাপানে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। যা দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৫০ শতাংশ। ‘আমরা এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছি,’ বলেন তিনি। সাতশী ওনডা প্রধানমন্ত্রীকে রিলায়েন্স বাংলাদেশ পাওয়ার এবং এলএনজি কোম্পানির যৌথ প্রকল্প সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। যেটি দেশের মেঘনা ঘাটে একটি ৭১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। ‘এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২০২২ সাল নাগাদ উৎপাদন শুরু হবে,’ উল্লেখ করেন তিনি। তারা ইতোমধ্যেই দেশের সামিট পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ৩৩৫ মেগওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে উল্লেখ করে জিরা সভাপতি বলেন, ‘আমরা সামিটের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আরও কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে চাই।’ সাতশী ওনডা বলেন, সামিট-জিরা মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম ইতোমধ্যে কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করে আগ্রহ পত্র (ইওআই) জমা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, পিএমও সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকী এবং সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহম্মদ আজিজ খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।