দিনাজপুর থেকে বেড়াতে এসে শ্রীমঙ্গলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী

5

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
দিনাজপুর নিজ বাড়ি থেকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে এসে ফিনলে চা বাগানের ভেতরে এক কিশোরী (১৬) সংবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ দুই অভিযুক্তকে আটক করেছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্র“য়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শহরতলীর বধ্যভূমি সংলগ্ন ভাড়াউড়া ফিনলে চা বাগানের ভেতরে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ওই কিশোরীর মা জানান, তাদের বাসা শহরের ক্যাথলিক মিশনের পেছনে। মেয়েটি একই এলাকার শাহ আলম পাটোয়ারীর মেয়ে বাড়ি দিনাজপুরে তার বাসায় কাজ করতো। গত দুই সপ্তাহ আগে আমার মেয়ে শ্রীমঙ্গলে এসেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর একই এলাকার আঞ্জব আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী আমার মেয়েকে বধ্যভূমিতে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গেলে চা বাগানের ভেতরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো. সোহেল রানা জানান, কিশোরী বোকা টাইপের এতো চালাকচতুর না। শুক্রবার সন্ধ্যার পর একই এলাকার পূর্ব পরিচিত আঞ্জব আলীর ছেলে অটোরিকশা চালক ইয়াকুব আলীকে নিয়ে বধ্যভূমি এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখানে রাত ৯টা পর্যন্ত অবস্থান করে সড়কের পাশে ঝাল মুড়ি খাওয়া অবস্থায় অপরিচিত এক টমটম চালক বাসায় পৌঁছে দিবে বলে তাদেরকে টমটমে উঠায়। এ সময় আগে থেকে সেখানে অবস্থানকৃত দুই ধর্ষক টমটমে উঠে ভাড়াউড়া চা-বাগানের ভেতরে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষকদের একজন মেয়েটির সাথে থাকা ইয়াকুবকে রশি দিয়ে বেঁধে টমটমে আটকে বসিয়ে রাখে। রাত সাড়ে দশটার দিকে ধর্ষিতা কিশোরী ও ইয়াকুবকে বধ্যভূমির কাছাকাছি সড়কে ধর্ষকরা নামিয়ে দিয়ে টমটম নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনা জানার পর মেয়েটির মা রাতেই থানায় আসে। পরে অভিযান চালিয়ে ভাড়াউড়া চা-বাগান থেকে অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানের মৃত অনিল দোষাদের ছেলে কৈলাশ দোষাদ (২৫) ও একই চা বাগানের মৃত পূজনা মৃধার ছেলে জহর লাল মৃধা (২৯)। আটক দুজন ওই চা বাগানে বাগান পাহারাদার। মূল অভিযুক্ত টমটম চালককে শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।
তিনি আরও জানান, থানায় জিডির মাধ্যমে ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ওই কিশোরী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।