কোম্পানীগঞ্জে পাথর চাপা পড়ে আবারও শ্রমিকের মৃত্যু, লাশ গুমের চেষ্টা

9

স্টাফ রিপোর্টার :
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় অবৈধ পাথর উত্তোলনের সময় পাথর চাপা পড়ে আবারো এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর প্রশাসনকে না জানিয়ে লাশ গুমের চেষ্টাও করা হয়। অবশেষে বিজিবির সহায়তায় লাশের সন্ধান পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। হতভাগ্য পাথর শ্রমিক সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মো: আব্দুলের পুত্র তানভির হোসেন (২৭)।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় শাহ আরফিন টিলায় বহুল আলোচিত পাথর খেকো আঞ্জু মিয়ার গর্তে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাথর উত্তোলনের সময় উপর থেকে পাথর চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন তানভির হোসেন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য কোম্পানীগঞ্জ সদর হাসপাতালে না নিয়ে পাথর খেকোরা নিয়ে যান ছনবাড়ি গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার মাধব লালের কাছে। সেখানে নেয়ার আগেই মারা যান তানভির। পরে স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়ে সেখান থেকে লাশ তার গ্রামের বাড়ি দিরাই উপজেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সজল কুমার কানুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এসব ভুয়া খবর। কেউ আহতও হয়নি। পরে বিষয়টি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্যকে জানানো হলে তিনি বিজিবি সদস্যদের সাথে নিয়ে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে যান।
ইউএনও সুমন আচার্য জানান, গ্রাম্য চিকিৎসক প্রথমে বিষয়টি স্বীকার করেনি। পরে গ্রেফতারের ভয় দেখালে সে সব স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্য মতে জানা যায়, নিহত শ্রমিক তানভিরের বাড়ি দিরাইয়ের মির্জাপুর গ্রামে। পরে লাশ উদ্ধারের জন্য সুনামগঞ্জ পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। দিরাই থানার ওসি কে এম নজরুল জানান, তিনি সংবাদ পেয়েছেন। লাশ উদ্ধারের জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ নির্দেশনা দিয়েছেন।