দিরাইয়ের কাইমা কমিউনিটি ক্লিনিকে তথ্য চেয়ে না পেয়ে তথ্য কমিশনে অভিযোগ

18

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কাইমা কমিউনিটি ক্লিনিকে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে না পেয়ে দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে আপীল করেও তথ্য পাননি কাইমা গ্রামের বাসিন্দা দিরাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকি একে কুদরত পাশা ও সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আবু ছালিম। পরে তারা ১৫ ডিসেম্বর তথ্য কমিশনার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
জানা যায়, বিগত ১৫ আগষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা, কাইমা কমিউনিটি ক্লিনিক দিরাই, সুনামগঞ্জ এর বরাবরে দিরাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকিএকে কুদরত পাশা ও সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আবু ছালিম আবেদন করে জানতে চান, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন পর্যন্ত রোগীদের কাছ থেকে কত টাকা আদায় করা হয়েছে। ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ অর্থ বছরে অর্থ বছর অনুযায়ী কত টাকা খরচ করা হয়েছে তার রেজুলেশন ও খরচের খাত অনুযায়ী বিল ভাউচার। এবং ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাস পর্যন্ত কাইমা কমিউনিটি ক্লিনিকে কত জন মা প্রসব করেছেন। সিএসবি কতটি প্রসব করিয়েছেন এবং সিএইচপি কতটি প্রসব করিয়েছেন। কত জন মা মারা গেছেন, কতটি শিশু মারা গেছে। কাইমা কমিউনিটি ক্লিনিকে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য কতটি মনিমিক্স দেওয়া হয়ছে? কতটি বিতরণ করা হয়েছে? কাকে বিতরণ করা হয়েছে তার বসয় ঠিকানা সহ জানতে চান তারা। সে আবেদনে সাড়া দেননি কাইমা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি জয়ন্তী রানী। পরে তারা দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আপিল দাখিল করেন।
১৩ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (চ.দা) বিশ্বজিত দেব শুনানি করেন। এ সময় আবেদনকারী একে কুদরত পাশা ও কাইমা কমিউনিট ক্লিনিকের সিএইচসিপি জয়ন্তী রানী দাস উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাহিত তথ্য প্রদানের জন্য আদেশ দেন। কিন্তু জয়ন্তী রানী সে আদেশ অমান্য করে তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। জয়ন্তী রানীর খুটির জোড় অনেক তাই তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আপিল শুনানির পরেও জবাব দেননি।
তথ্য পাওয়ার জন্য আবেদনকারীরা গত ১৫ ডিসেম্বর তথ্য কমিশনার বরাবরে তারা অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, অদ্যাবধি আমাদের তথ্য প্রদান করা হয়নি। আপিল কর্মকর্তা তথ্য প্রদানের আদেশ প্রদান করলেও তথ্য প্রদান কর্মকর্তা আদেশ লঙ্গন করেছেন। আমরা চাহিত তথ্য প্রদানের জন্য আদেশ প্রার্থনা করছি এবং আপিল কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ লঙ্গন করায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রার্থনা করছি।