‘বুঙ্গার’ পেঁয়াজে নগরীর বাজার সয়লাব, তবুও কমছে না দাম

38

স্টাফ রিপোর্টার :
পেঁয়াজের সংকটের সুযোগে আবরো অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা পেঁয়াজে সয়লাব হয়ে গেছে নগরীর পাইকারি ও খুচরা বাজার। অবৈধভাবে আসা পেঁয়াজ বাজারে ঢুকলেও দাম কমছে না। এতে বিপাকে পরেছেন বৈধভাবে পেঁয়াজ আনা ব্যবসায়ীরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কালিঘাট ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার সকালের দিকে ভারতীয় অবৈধ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৬০ টাকা। এছাড়া মিশরী ১৩০ টাকা, চায়না ১০৫ টাকা, তুরস্কর পেঁয়াজ ১১০টাকা এবং বার্মার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় দেশে হঠাৎ করে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়। এতে বাজারে দামও বৃদ্ধি পায় কয়েকগুন। পরে সরকার বিষয়টিতে জোড় দিলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে বাজার। এরপর আবার কেন্দ্রীয়ভাবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজ মজুদ করে বেশীদামে বিক্রি করা শুরু করেন। যা দেশের বিভিন্ন যায়গায় এখনো অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় সিলেটে পেঁয়াজের কেজি ২০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। এই সুযোগে সিলেটের কিছু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের সাথে যোগসাজসে ভারত থেকে অবৈধপথে পেয়াঁজ আনা শুরু করেন। যেটিতে সিলেটের ভাষায় ‘বুঙ্গা’ বলা হয়। এতে বাজারে পেঁয়াজের সংকট কিছুটা নিরসন হলেও বিপাকে পরেন বৈধভাবে পেঁয়াজ আনা ব্যবসায়ীরা। আর সরকার হারিয়েছে বড় অঙ্কের রাজস্ব। এখনো পেঁয়াজের বাজার চড়া থাকায় প্রতিদিনই সিলেটের বাজারে ঢুকছে কয়েক হাজার কেজি অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা পেঁয়াজ।
এ ব্যপারে কালিঘাটের পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় তারা মিশর, চিন, মায়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বেশীদামে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ভারত থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসায় বাজারে ধ্বস নেমেছে। এতে বৈধপথে পেঁয়াজ আমদানীকারকরা বড় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। এই কয়েকদিনে তাদের বড় ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।