সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা মানুষকে কখনও খালি হাতে ফেরায় না – শফিক চৌধুরী

41
সিলেট সাহিত্য উৎসবে বক্তব্য রাখছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী।

জাতীয় সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা মানুষকে কখনও খালি হাতে ফেরায় না, সহিত্য সংস্কৃতি চর্চা মানুষকে মানবিক সমৃদ্ধি এনে দেয়। একজন মানুষ পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চার কোন বিকল্প নাই। একটি জাতির সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা যতো বেশি সমৃদ্ধ হবে, সেই জাতির মেধা ও মননে ততোই উন্নত মানুষ তৈরী হবে। বিশে^র বুকে বাংলার মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে যে উন্নত দেশ বিনির্মাণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন, সেই যাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে মেধায় মননে উন্নত মানুষ প্রয়োজন। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকালে ৩টায় কেমুসাসের শহিদ সোলেমান হলে, জাতীয় সাহিত্য সংগঠন কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ও সিলেটের ইউসুফী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত সিলেট সাহিত্য উৎসব-২০১৯এ উদ্বোধকের বক্তব্য এসব কথা বলেন। কবি ও কথাশিল্পী আবুল বাসার সেরনিয়াবাদ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উৎসবে প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন, কাসাপের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি ও শিশুসাহিত্যিক আসলাম সানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,কবি স.ম. শামসুল আলম সভাপতি, আনন ফাউন্ডেশন, গীতিকবি এম আর মনজু সভাপতি, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ, দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কেমুসাস। ছড়াকার জয়নাল আবেদীন জুয়েল, সভাপতি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেট, বিজ্ঞানকবি হাসনাইন সাজ্জাদী সভাপতি, বিজ্ঞান কবিতা আন্দোলন। বাউল বিরহী কালা মিয়া, প্রধান উপদেষ্টা ইউসুফী শিল্পীগোষ্ঠী সিলেট। কবি সাংবাদিক মোহাম্মদ বাদশা গাজী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ তাঁতীলীগ। আখলাকুল আম্বিয়া, সম্পাদক দৈনিক স্বাধীন বাংলা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাসাপের কেন্দ্রীয় সভাপতি কবি আবুল বাসার সেরনিয়াবাদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পুথি স¤্রাট জালাল খান ইউসুফি, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, কাসাপের সহসভাপতি কবি সুফিয়া বেগম। অন্যান্য বরেণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সিলেট সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনিতদের হাতে একটি ক্রেষ্ট ও সনদ তুলে দেয়া হয়। সিলেট সাহিত্য পুরষ্কার গ্রহণ করেন- আনোয়ারা সৈয়দ হক, কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য। তপন বাগচী, লোকসাহিত্য গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য। আব্দুল মুমিন মামুন, কাব্যসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য (সিলেট)। বেলাল আহমদ চৌধুরী, প্রবন্ধসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য (সিলেট)। কবি হিলারী হিটলার আভী, কাব্যসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য (কুষ্টিয়া)। মিলি বসাক, কাব্যসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য (খুলনা)। শাহমুব জুয়েল, প্রবন্ধ সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য (চাঁদপুর)। আবদুল হান্নান ইউজেটিক্স, কাব্যসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য (ময়মনসিংহ)। গীতিকার সরকার আলম, গীতিকাব্যে অবদানের জন্য (কিশোরগঞ্জ)। দিলদার হোসেন দিলু, নতুন আলো কাব্যগ্রন্থের জন্য (সুনামগঞ্জ)। সুমন বনিক, ছড়াসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন,অধ্যাপক কবি মামুন সুলতান, অধ্যাপক কবি খালেদ উদ-দীন, কথাশিল্পী জসীম আল ফাহিম। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কবি ও কথাশিল্পী জালাল খান ইউসুফী। বিজ্ঞপ্তি