জগন্নাথপুরে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা

14

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুর উপজেলায় বন্যার পানিতে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় আমন ধানের চারা সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে বীজতলা তলিয়ে যাওয়ার পর রোপনের সময় চারা না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। ফলে চলতি মৌসুমে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৮ হাজার ২শত ৫০ হেক্টর বীজতলা লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ৪০০ হেক্টর বিজতলা প্রস্তুত হয়েছিল। অকাল বন্যায় ৪০ হেক্টর বীজ তলা সম্পুর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ৭০ হেক্টর বীজ পনিতে নিমোজ্জিত হয়ে যায়।
যেসময় মাঠে বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল তখন হঠাৎ অকাল বন্যায় বীজতলা ডুবে সব চারা নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলার কৃষকেরা জানান, বীজতলা নষ্ট হওয়ার বিষয় নিয়ে কৃষক দুশ্চিন্তায় পড়েছে। অনেক কৃষক বন্যাকবলিত এলাকায় মাটি দিয়ে ভাসমান বীজতলা করে চারা সংকট নিরসনের চেষ্টা করছেন। আমন মৌসুমের শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন কৃষকরা।
উপজেলার আমন বীজতলা, ভুট্টা, পাটখেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমি বন্যায় ক্ষতি হয়েছে। কৃষকের দুই বার করে বীজতলা তৈরী করে ধান রোপন করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
কৃষি কাজে লোকসান থাকা সত্তেও ধান ফলাতে হবে বলে জানা কৃষকেরা। বন্যা পরবর্তী সময়ে আমনের চাষ নিশ্চিত করতে কৃষকেরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। ধানের চারা প্রদানসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া জন্য কৃষি অফিসের কাছে আবেদন জানান কৃষকেরা।
অকাল বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন হাওরে বীজ তলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান উপজেলার কৃষি অফিসার শওকত ওসমান মজুমদার বন্যা পরবর্তী ক্ষতি থেকে কৃষকদের উত্তোলনের জন্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আশা করছেন বন্যার পরও কৃষকের ঘুরে দাঁড়াবে। তিনি আরো বলেন, বন্যার পর উপজেলার আমন বীজতলার ব্যাপারে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি অফিস। বন্যার পরও ভাল ফলন হবে বলে আশাবাদি তিনি।