ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়বে না – স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

8

কাজিরবাজার ডেস্ক :
রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমার লক্ষণ দেখতে পাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই রোগটি নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সরকারি সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
গতকাল সোমবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার সানিয়া তহমিনা বলেন, প্রায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার নিম্নগতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা আশা করছি, রোগীর সংখ্যা আর বাড়বে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেঙ্গু বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাক্তার এমএম আক্তারুজ্জামান, অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডাক্তার আয়শা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে ডাক্তার সানিয়া তহমিনা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৬১৫ জন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এসময়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ৫০ জন। এই ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৭৫৭ জন এবং ছাড়পত্র পাওয়া রোগীর সংখ্যা এক হাজার ছয়জন। ঢাকার বাইরে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৮৫৮ জন এবং ছাড়পত্র নিয়েছেন এক হাজার ৪৪ জন। এ তথ্য বিশ্লেষণ করে অধ্যাপক ডা. তহমিনা বলেন, আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৫ শতাংশ কমেছে।
তিনি জানান, সারা দেশে আজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছয় হাজার ৭৩৩ জন। যা আগের দিনের তুলনায় ৬ শতাংশ কম। ঢাকা মহানগরীর হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে ভর্তি থাকা রোগী সংখ্যা তিন হাজার ৪১৯ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছে তিন হাজার ৩১৪ জন। আগের দিনের তুলনায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ৭ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ কমেছে।
ডাক্তার সানিয়া তহমিনা বলেন, ‘এর মাধ্যমেই আমরা দেখতে পাচ্ছি নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমছে অর্থাৎ রোগীর হার নি¤œগতি। আশা করছি এটা আর বাড়বে না। এটা সম্ভব হয়েছে সবার সমন্নিত প্রচেষ্টা এবং আপামর মানুষ সচেতন হয়েছে বলে।’
তিনি জানান, সোমবার সকালেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যমে দেশের সকল হাসপাতালের ডিরেক্টর, লাইন ডিরেক্টরদের উপস্থিতিতে, সিভিস সার্জন ও ইউএইচএসপিএদের সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ে এর প্রতিকার প্রতিরোধ ও এর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।