বাড়ছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

72

মেলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা  :
শুক্রবার রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলায় কোথাও কোথাও এবং উজানে বৃষ্টি হওয়ার কারণে মনু নদী ও ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
এতে সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোণা জামে মসজিদের পাশে, দাউদপুর সড়কে মধ্যেস্থল, ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায় কুশিয়ারা নদীর বাঁধে ভাঙন দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে তিন হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
সদর উপজেলার ১নং খলিলপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান অরবিন্দ পোদ্দার বাচ্চু বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় বালু ভর্তি বস্তা ফেলে পানি আটকানো যায়নি। এতে হামরকোণা, দাউদপুর, ব্রাহ্মণগ্রামসহ প্রায় প্রায় তিন হাজার মানুষ পানিবন্দী। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী রবিবার সন্ধ্যায় বলেন,মনু নদী মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাট ব্রিজ এলাকায় বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদী বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার।শেরপুর কুশিয়ার নদীর পানি ৫০ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে।’ তিনি আরও বলেন, শেরপুওে কুশিয়ারার বাঁধ ভাঙন দেখা দিলে সেখানে বাঁধ রক্ষায় ৪ হাজার বস্তা বালু পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই দুটি নদীর চিহ্নিত করা ৩৬টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধগুলো মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কোথাও কোথাও পুরো বাঁধের তিনভাগই ভেঙে গেছে পানির তীব্র ¯্রােতে। যেকোন সময় পানির তীব্র স্রোতে এসব বাঁধের কোথাও ভেঙে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।
অপরদিকে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সকল আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে সংষ্কার করে রাখতে ইউএনও দেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কমলগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার রামপাশা এলাকায় ধলাই নদীর বাঁধ ভাঙনের কবলে পড়া বাড়িঘর ও ফসলি জমি থেকে শনিবার সন্ধ্যা থেকে পানি কিছুটা কমতে শুরু করে। কিন্তু উজানে বৃষ্টি হওয়ার কারণে রবিবার সকাল থেকেই পানি বেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে বলে জানিয়েছেন, কমলগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফখরুল ইসলাম। রবিবার বিকালে নতুন করে আদমপুর ইউনিয়নের হকতিয়ারখলার উত্তর ও দক্ষিণ পল্লীতে ২টি ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করছে।
ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের নতুন ও পুরাতন তিনটি ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করে কমলগঞ্জ পৌরসভা, রহিমপুর ও ইসলামপুর ও আদমপুরের ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তিনশত পরিবার পানি বন্দি রয়েছেন। জেলা প্রশাসন বন্যাকবলিত মানুষের মধে দুইশত প্যাকেট শুকনো খাবার ও ২ মে্িট্রক টন চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে।
তবে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কয়েকটি ঝুকিপুর্ণ স্থানে ভাঙ্গনের আশংকা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তথ্যমতে পানিতে ডুবে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ৮ হেক্টর ও কমলগঞ্জ উপজেলায় ১২৫ হেক্টর আউশ ধান ও সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের ৭ হেক্টর আমনের চারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক কাজী লৎফুল বারী জানান, এবছর মৌলভীবাজার জেলায় ৫৩ হাজার ১০ হেক্টর আউশ ধান আবাদ হয়েছে। এপর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪০ হেক্টর ধান ও চারা। রবিবার থেকে ধানের জমির পানি কমছে বলে জানান।
মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান জেলার কমলগঞ্জ ধলাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ২৩ টি পুকুর, ৩ হেক্টর মাছের আবাদের প্রায় ৫ দশমিক ৯ মেট্রিকটন মাছ বানের পানিতে ভেঁসে যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৮ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা।’
মৌলভীবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান জানান, সদর উপজেলায় ইউএনও ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে ১নং খলিলপুর ইউনিয়নের ৫টি গ্রামে পানি প্রবেশ করায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও দুই হাজার মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। তবে পানি না কমা পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে।’
একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে জানিয়েছেন : বানের পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে। উপজেলার রফিনগর, ভাটিপাড়া, রাজানগর, চরনারচন, সরমঙ্গল, করিমপুর, জগদল, তাড়ল ও কুলঞ্জ ইউনিয়নের শত শত বাড়ীতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন আক্রান্তরা। পানি বাড়ার সাথে সাথে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হলেও দুর্গত মানুষের হাতে এখনো কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌছায়নি। তবে রোববার বিকেলে জরুররী সভা করেছে দিরাই উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবর পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আছাব উদ্দিন সরদার, এহসান চৌধুরী, রতন কুমার দাস তালুকদার, মুজিবুর রহমান, শিবলী আহমদ বেগ, আব্দুল কুদ্দুস, শাহজাহান কাজী, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, দিরাই প্রেসক্লাব সভাপতি সামছুল ইসলাম সরদার খেজুর, দিরাই অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সর্দার প্রমুখ।
সভায় জানানো হয় রফিনগর ইউনিয়নে ১০০ টি পরিবার, ভাটিপাড়ায় ৫০, রাজানগরে ৪০, চরনারচরে ৩৫, দিরাই সরমঙ্গলে ৪০, করিমপুরে ৫০, জগদলে ৪৫, তাড়ল ৫০ এবং কুলঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ৫০টি পরিবার বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। পানি বাড়তে থাকালে উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ প্রস্তুত। উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয় এলাকার মানুষের চাহিদা অনুযায়ী আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। দ্রুত ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ শুরু হবে। তিনি যে কোন সমস্যা কন্ট্রোল রুমে জানানোর জন্য আহ্বান জানান।
পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে জানিয়েছেন : সারা দিন ব্যাপী অবিরাম বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানির ঢলে মৌলভীবাজারের ধলাই নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রবিবার বিকাল ৭ টা পর্যন্ত ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার বিকালে নতুন করে আদমপুর ও পতউষার, শমশেরনগর, মুন্সীবাজার ও আলীনগর ইউনিয়নর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া রহিমপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর এলাকায় ধলাই নদীর বাঁধ ভাঙন দিয়েছে।
আদমপুর ইউনিয়নের হকতিয়ারখলার উত্তর ও দক্ষিণ পল্লীতে ২টি ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। এছাড়া শুক্রবার গভীর রাতে রামপাশা এলাকায় ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙ্গনে কমলগঞ্জ পৌরসভা ও উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ২৫ টি গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষ পানিবন্ধি অবস্থায় আছে। উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে কমলগঞ্জ পৌরসভার রামপাশা গ্রামে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এছাড়া আদমপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও, ঘোড়ামারা ও রহিমপুর ইউনিয়নের প্রতাপী গ্রামে ধলাই নদীর পুরাতন ভাঙ্গা প্রতিরক্ষা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ২০টি গ্রামে পানিবন্ধি অবস্থা বিরাজমান করছে। পতউষার ইউনিয়নের মহেষপুর, শ্রীরামপুর,নোয়াগাও, রুপসপুর,মাইজগাও, ধোপাটিলা নতুনভাবে বন্যার পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে।
কমলগঞ্জ পৌরসভার রামপাশা গ্রামের প্রতিরক্ষা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে রামপাশা ও কুমড়াকাপন এবং কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রাজারগাঁও, নারায়ণপুর, ছতিয়া গ্রাম পানিবন্ধি অবস্থায় আছে। রোববার দুপুরে আদমপুর ইউনিয়নের হকতিয়ারখলা উত্তর ও দক্ষিণ পল্লীতে আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা ও কোনাগাঁও এর পুরাতন ভাঙ্গা প্রতিরক্ষা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ইউনিয়নের ঘোড়ামারা এবং এই বাঁধের পানিতে আলীনগর ইউনিয়নের রানীরবাজার, যোগিবিল, লাংলিয়া, কামুদপুর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রহিমপুর ইউনিয়নের প্রতাপী পুরাতন ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করে কান্দিগাঁও, জগন্নাথপুর, প্রতাপী, রামচন্দ্রপুর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানিতে ফসলিজমি নিমজ্জিত রয়েছে। তাছাড়া আরও বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙ্গনপ্রবণ এলাকা রয়েছে। কমলগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা মো: আনিসুরজামান জানান, প্রাথমিকভাবে বন্যার পানিতে কমলগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৫০ হেক্টর কৃষিজমি পানিতে নিমজ্জিত আছে বলে জানা যায়। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক জানান, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে কমলগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকাবাসীর জন্য ২শ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্ধ করা হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় আমরা খাবার প্রদান করেছি। ক্রমান্ময়ে প্রতিটি ভাঙ্গন এলাকায় শুকনো খাবার পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। কমলগঞ্জ পৌর মেয়র মো: জুয়েল আহমদ জানান, রোববার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে ১৫০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। মেয়রের নিজস্ব তহবিল থেকে সন্ধ্যায় ১কেজি চিড়া ও ৩০০ গ্রাম করে গুড় ৪০০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী জানান, রোববার বিকাল ৫ টা ২০ মিনিটে ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমার ৪৯ সেন্টিমিটারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে প্রবল বষর্ণে কারণে কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছ বাজারের ষ্টেশন রোডে জমে থাকা পানির সাথে গ্যাস বের হচ্ছে। পাইপ লাইন ফেটে যাওয়ায় এইসব গ্যাস বের হচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। না হলে কোন ধরনের অঘটন দেখা দিতে পারে আশংকা করা যাচ্ছে।
মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে জানিয়েছেন : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হু হু করে বেড়েই চলেছে বন্যার পানি। মুহূর্তে-মুহূর্তে বাড়ছে পানি। দ্রুত পানি বাড়ার দৃশ্য দেখে কাঁদছেন মানুষ।
১৪ জুলাই রবিবার বন্যা কবলিত এলাকার পানিবন্দি লোকজন বলেন, রাতে দেখলাম পানি বাড়ির উঠানের নিচে রয়েছে। সকালে দেখি পানি ঘরে উঠে গেছে। দ্রুত পানি বাড়ায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। পরিবার-পরিজন, গবাদি পশু ও গোলায় থাকা ধান নিয়ে এখন কোথায় যাবেন। এ নিয়ে পানিবন্দি লোকজন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিতদের মধ্যে ত্রাণ সামাগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে অকাল বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। কুশিয়ারা ও নলজুর সহ বিভিন্ন নদ-নদী ও হাওরে বেড়ে চলেছে পানি। বন্যার পানিতে উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েকটি গ্রাম প্রায় তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন হাট বাজারে ও বাড়িঘরে পানি উঠেছে। তলিয়ে গেছে অনেক রাস্তাঘাট। বেড়েছে পানিবন্দি মানুষের ভোগান্তি।
বন্যার পানিতে কুশিয়ারা নদীর উপচে উঠেছে। নদী পাড়ের হাট বাজার, গ্রামীণ রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি মানুষ উচুঁ এলাকার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। অনেকে আবার নিজ ঘরে বাঁশের মাচা বানিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। কারণ বন্যার পানির সাথে ভেসে আসছে সাপ, বিচ্চু, জোঁক সহ বিভিন্ন প্রাণঘাতি জীব। এসব জীব পানির সাথে মানুষের ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। এতে যে কোন সময় বিপদে পড়তে পারেন মানুষ।