কমলগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৪ জন আহত

18

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কানাইদেশী গ্রামে সিএনজি ভাড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৪ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দেওয়া হলে আসামীদের গ্রেফতার না করায় হামলাকারীরা নির্যাতিতদের আবারও হামলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ মে শুক্রবার হামলার ঘটনায় ৩০ মে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন জাবের উদ্দিন।
নির্যাতিতের অভিযোগে জানা যায়, দক্ষিণ কানাইদেশী গ্রামের সিএনজি চালক হাবিব উল্ল¬ার ছেলে মঈন উল্ল¬ার সাথে সিএনজি অটোরিক্সার ভাড়া নিয়ে একই গ্রামের মঈন উদ্দিনের স্ত্রী কয়তুরজান বেগমের মনোমানিল্য সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরে ২৫ মে শুক্রবার সকালে কয়তুরজান বেগমের স্বামী মঈন উদ্দিন স্থানীয় আদমপুর বাজারে আসলে ১ হাজার টাকা পাওনা দাবি করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আইন উল¬াহ, ছলিম উল¬াহ, মনির মিয়া, রহমত মিয়া, হাসমত মিয়া, জহির মিয়া সহযোগে মারধোর করে। এ সময়ে মঈন উদ্দিনকে আটকিয়ে অপমান করে জোর পূর্বক অটোরিক্সা ভাড়া আদায় করে নেয়। মঈনউদ্দীন এ বিষয়টি অন্য এক সিএনজি চালককে অবহিত করলে মঈন উল¬াহ ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্রসহ তার সহযোগীদের নিয়ে মঈনউদ্দিন এর বাড়িতে গিয়ে ২য় দফায় হামলা চালিয়ে মঈনউদ্দীন (৬০) তার স্ত্রী কয়তুরজান বেগম (৫৫), ছেলে শামসুদ্দীন (২৫) ও জাবের উদ্দিন (১৯) আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মঈনউদ্দীদের ছেলে জাবের উদ্দিন বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
জাবের উদ্দীন সহ নির্যাতিতেরা অভিযোগ করে বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে হামলাকারীরা আমাদের উপর আক্রমন করার জন্য উদগ্রীব রয়েছে। তাদের ভয়ে আমরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি।
তবে অভিযোগ বিষয়ে মঈন উল্লা বলেন, আমার ভাড়া নেওয়া সিএনজি-অটোরিক্সার ভাড়া এক মাস হয়ে গেলেও মইন উদ্দীন ভাড়া না দেয়ায় বাজারে পেয়ে ভাড়া খুঁজি। এরপর তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠলে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মইন উদ্দীনের বাড়ির সামনে দিয়ে আমার বাড়িতে যাওয়ার সময় অটোরিক্সায় হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং আমার মাকেও কূপিয়ে আহত করেন। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানায় আমার লিখিত অভিযোগ রয়েছে।
জাবের উদ্দীনের দেওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার এসআই ফরিদ মিয়া বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তারা পলাতক থাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিদ্দেক আলী ও আদমপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানেরও চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন।