সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ॥ দুই ব্যক্তির হয়রানিতে অতিষ্ঠ রুপিয়া গ্রামের পঞ্চায়েতবাসী

23

স্টাফ রিপোর্টার :
বালাগঞ্জের রুপিয়া গ্রামের পঞ্চায়েতের মানুষকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নানা রকম হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে। স্থানীয় মৃত সুনু মিয়ার পুত্র এনামুল হক এবং মৃত ইব্রাহিম উল¬্যার পুত্র ছমির মিয়া নামের দুই ব্যক্তির কারণে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছেন বলে অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের মুরব্বীয়ানরা। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রুপিয়া গ্রামের মরহুম আব্দুর রশীদের পুত্র মো. ফারুক আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের গ্রামে মসজিদের ইমামের বেতনসহ যাবতীয় ব্যয় হয় গ্রামবাসীর নিকট থেকে চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে। মসজিদ কমিটির এক সভায় এনামুল হক বলেন তিনি বাড়ী বাড়ী গিয়ে এ চাদাঁ আদায় করবেন এবং সঠিক হিসাব কমিটি কে বুঝিয়ে দিবেন। দীর্ঘ কয়েক মাস হলো তিনি টাকা উত্তোলনের পরও ইমামের সঠিক বেতন পরিশোধ করছেন না এবং সঠিকভাবে হিসাব দিচ্ছেন না। বিগত ৩ মাসের হিসাব না দিয়ে তিনি স্বেচ্ছায় মসজিদে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। অথচ প্রচার করছেন আমরা না কি তাকে এক ঘর করে রেখেছি, যা আদৌ সত্য নয়। বরং তিনি ও তার সঙ্গী ছমির মিয়া মসজিদে তালা মেরে দেয়। তাদের কে সভায় ডাকলে তারা উপস্থিত হননি। বালাগঞ্জ থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ তালা খোলার ব্যবস্থা করে দেয়। তাদের উভয়কে গ্রামবাসী ও মসজিদ কমিটি একাধিকবার বৈঠকে আসার আহবান করলে তারা আসেননি এবং কোন হিসাব প্রদান করেননি।
ফারুক আহমদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, উল্লে¬খিত ছমির মিয়ার পূর্ব পূরুষের নিকট থেকে ফারুক আহমদের বাবা কিছু জমি ক্রয় করেন। অতপর ছমির মিয়া উক্ত ভুমিতে কিছুদিন থাকার অনুরোধ করলে ফারুক মিয়া সে সুযোগ দেন। বর্তমানে তিনি ছাড়ছেন না। বরং তিনিই ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় গত বছর খারিজ হয়ে যায়।
অপরদিকে এনামুল হকও দুটি মামলা (৮/২০১৭ ও ২৭/২০১৭) দায়ের করে মাসুক মিয়ার বিরুদ্ধে। এগুলোও মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় খারিজ হয়ে যায়। এভাবে মানুষের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করে যাচ্ছে এনামুল ও ছমির গং। ফলে গ্রামবাসী অসহায় পড়েছেন। তাই এসব থেকে প্রতিকার পেতে তারা প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মোতাওয়াল্লী হাজী তজমুল আলী, আব্দুস শহীদ, ছালিক মিয়া, ছানাওর আলী, তুরন মিয়া ও মোস্তাক আহমদ।