কানাইঘাটে ভারতীয় পাগলা মহিষের তান্ডবে ৭ জন আহত

36

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাইপথে ভারত থেকে নিয়ে আসা একটি পাগলা মহিষের তান্ডবে ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এক শিশু সহ ৪ জনকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কান্দলা গ্রামের বাংলাটিলা এলাকায়।
জানা যায়, ঐ দিন ভোরে কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী সোনারখেওড় গ্রাম দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু-মহিষ আমদানীকারী কান্দলা গ্রামের জামাল আহমদ ও দীঘিরপার পূর্ব ইউপির দীঘিরপার গ্রামের কামাল আহমদের একদল গরু-মহিষ বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ সময় একটি মহিষ দলছুট হয়ে এলাকায় দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। এতে পাগলা এ মহিষটির তান্ডবে সোনারখেওড়, ডাউকেরগুল, কান্দলা সহ কয়েকটি গ্রামে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মহিষের গুতোয় গুরুতর আহত হন, বাংলাটিলা গ্রামের বাবুল আহমদ (৪০), তার ভাতিজি তানহা আক্তার (১১), ডাউকেরগুল ও কান্দলা গ্রামের জব্বার (৪৫), শামীম আহমদ (২৩), সুহানা বেগম (২৭) গুরুতর আহত হলে তাদের কে সিওমেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। পাগলা মহিষের গোতায় অনেকে আহতের খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ঘটনাস্থলে গিয়ে, পাগলা মহিষকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে নিস্তেজ করেন। পরে মহিষটি কে পুতে ফেলা হয়।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রতিদিন চোরাকারবারীরা হাজার হাজার গরু-মহিষ ভারত থেকে নিয়ে আসছেন। এসব গরু মহিষ লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি, দীঘিরপার পূর্ব ও সাতবাঁক ইউপির বিভিন্ন এলাকা দিয়ে পাচারকালে অনেকের ফসল ও ফসলী জমি, বাড়ীর আঙ্গিনা সহ গ্রামীণ রাস্তা-ঘাটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হচ্ছে বলে এলাকার লোকজনরা জানিয়েছেন। ভারত থেকে চোরাই পথে আনা এসব গরু মহিষ কে মাদক খাওয়ানো হয় এবং মানবদেহের জন্য বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয় বলে জানা গেছে।