সিলেটে ১/১১ এ গ্রেফতারের যুগপূর্তিতে আ’লীগ নেতাকর্মীদের স্মৃতিচারণ ॥ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি ছিলো একটি কলংকজনক অধ্যায়

13
সিলেট ১/১১ এ গ্রেফতারের যুগ পূর্তিতে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান ও ইফতার মাহফিলের পূর্বে দোয়া করা হয়।

সিলেটে আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মীর জীবনের কালোদিনের যুগপূর্তি ছিলো মঙ্গলবার (১৪ মে)। এক যুগ আগে ২০০৭ সালের এই দিনে আলোচিত ১/১১ এর সময় জরুরি অবস্থা চলাকালে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর বটেশ্বরস্থ বাসায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে ৪০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর একটি হোটেলের হল রুমে স্মৃতিচারণ ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি ছিলো একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে আমাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। আমরা সেদিন প্রতিহিংসার রাজনীতির বড় শিকারে পরিণত হয়েছিলাম। সেনা সমর্থিত তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যৌথবাহিনীর নির্যাতন-প্রলোভন সত্ত্বেও আমরা নতি শিকার করিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছি। এমনকি আরেকটি জেল হত্যাকান্ডের শংকা দেখা দিলেও আমরা তাদের সাথে কোন আপোষ করেনি।
স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী। এসময় তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন-ঐদিন আমার বাসায় একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান ছিল। দেশ-বিদেশের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে আমি দাওয়াত করি। কিন্তু তথাকথিত ১/১১ এর সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অনুষ্ঠান থেকে আটক করে আমাদেরকে জেলে পাঠানো হয়। দুই মেয়াদে ডিটেনশন ছাড়াও আমাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা এমনকি রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাও দায়ের করা হয়। কিন্তু আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিচল ছিলাম। শত নির্যাতন-নিপীড়নের পরও আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে ছিলাম।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার গোলাম কিবরিয়া, সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, আসাদ উদ্দিন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, এড. নিজাম উদ্দিন, বিজিত চৌধুরী, এড. নাসির উদ্দিন খান, সয়ফুল আলম রুহেল, ফারুক আহমদ, হাজি রইছ আলী, সৈয়দ শামীম আহমদ, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, কবির উদ্দিন আহমদ, সদরুজ্জামান চৌধুরী প্রিন্স, ইশতিয়াক চৌধুরী, এমাদ উদ্দিন মানিক, আকমল আলী, শামীম রশিদ চৌধুরী, কবির উদ্দিন আহমদ, নুরুল আমিন, এড. আজমল আলী, আব্দুল মোমিন চৌধুরী, শামীম আহমদ, আবদাল মিয়া, লিয়াকত আলী, এটিএম শোয়েব শিকদার, খন্দকার মহসিন কামরান, আসাদুজ্জামান আসাদ, জালাল উদ্দিন আহমদ কয়েছ, নিজাম উদ্দিন, আতাউর রহমান, ফেরদৌস খান, এড. আফছর আহমদ, আব্দুর রহমান, টিটু ওসমানী, সামসুল ইসলাম মিলন, সাইফুল সিদ্দিকী টিপু প্রমুখ।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীরা। বিজ্ঞপ্তি