রোমাঞ্চকর ফাইনালে চেন্নাইকে হারিয়ে মুম্বাইয়ের রেকর্ড

15

স্পোর্টস ডেস্ক :
দ্বাদশ আইপিএলের ফাইনালে রোমাঞ্চকর ম্যাচ চেন্নাই সুপার কিংসকে মাত্র এক রানে হারিয়ে আসরটির রেকর্ড ৪র্থ শিরোপা জিতলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। জসপ্রিত বুমরাহর ম্যাজিকাল বোলিং ও লাসিথ মালিঙ্গার শেষ ওভারের রোমাঞ্চে এক আসর পরই চ্যাম্পিয়নের মুকুট ফের মাথায় তুলে রোহিত শর্মার দল।
রবিবার (মে ১২) রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয় এর আগে তিনবার করে ট্রফি ভাগ করা চেন্নাই ও মুম্বাই।
যেখানে প্রথমে ব্যাট করা মুম্বাই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নামা চেন্নাইর শেষ বলে দুই রান দরকার হলে লাসিথ মালিঙ্গা শার্দুল ঠাকুরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললে জয় নিশ্চিত হয় মুম্বাইয়ের।
এর আগে ১৫০ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নামা চেন্নাইয়ের হয়ে ওপেনার শেন ওয়াটসন ছাড়া আর কেউই সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। বুমরাহ, রাহুল চাহার ও মিচেল ম্যাকক্লেনাঘানরা দারুণ বোলিং করে চেপে ধরেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের।
সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ওয়াটসন ১৯তম ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ৮০ রান করেন। ৫৯ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। আরেক ওপেনার ফাফ ডু প্লেসিস দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ বলে ২৬ রান করেন।
মুম্বাই বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট পান বুমরাহ। সমান ১৪ রানে একটি উইকেট দখল করেন চাহার। এছাড়া লাসিথ মালিঙ্গা ও ক্রুনাল পান্ডিয়া একটি করে উইকেট পান।
টসে জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪৫ রান তোলেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও রোহিত শর্মা। তবে দু’জনের কেউই নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ডি কক ১৭ বলে ৪টি ছক্কায় ২৯ করে শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হন।
আর দীপক চাহারের বলে বিদায় হওয়ার আগে অধিনায়ক রোহিত ১৪ বলে ১৫ করেন। ইমরান তাহিরের ঘূর্ণিতে টিকতে পারেননি সুরিয়া কুমার যাদব (১৫) ও ইশান কিশানও (২৩)। আর ঠাকুরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ক্রুনাল পান্ডিয়া দ্রুত ফিরলে বিপদে পড়ে মুম্বাই।
শেষ দিকে বিপর্যয় সামাল দিয়ে দলীয় ইনিংস বড় করেন কাইরন পোলার্ড। ২৫ বলে ৪১ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংস খেলেন এই ক্যারিবীয় তারকা। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও সমান ছক্কা। এছাড়া ১০ বলে ১৬ রান করেন হার্দিক।
চেন্নাই বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন চাহার। ঠাকুর ও তাহির ২টি করে উইকেট পান।