সিলেটে ফণীর প্রভাব না থাকলেও বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগ থাকবে বেশী

11

স্টাফ রিপোর্টার :
ফণীর প্রভাবে সিলেটে খুব ভয়ঙ্কর কিছু হবে না। তবে পুরো বিভাগে বৃষ্টির পরিমাণ ও বাতাসের গতিবেগ থাকবে বেশি। ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে তাণ্ডব চালিয়ে ভয়ঙ্কর এই ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে। তবে ফণী নিয়ে সিলেটেও রয়েছে আতঙ্ক।
ফণীর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই সিলেটে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের বেশকিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মারা গেছেন ৬ জন। বাগেরহাটে ফণীর প্রভাবে ঝড়ে গাছ পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বেড়ে গেছে বাতাসের গতিবেগও। যদিও ফণীর প্রভাব সিলেটে খুব একটা পড়বে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তথাপি সিলেটজুড়েই অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে মানুষের মধ্যে। শুক্রবার দিবাগত রাতের যে কোনো সময় ফণী পুরো শক্তিতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। তাই রাত ঘনাতে শুরু করার সাথে সাথে সিলেটের মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক বাড়ছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সিলেটে ফণীর প্রভাব খুব ভয়ঙ্কর কিছু হবে না। তবে পুরো বিভাগে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। একইসাথে বাতাসের গতিবেগও স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকবে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’’র কবল থেকে দেশবাসীকে যেন মহান আল্লাহ তায়ালা রক্ষা করেন সেজন্য গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর সিলেটের মসজিদগুলোতে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে আল্লাহ যেন দেশবাসীকে রক্ষা করেন, সেজন্য মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মুসল্লিদের আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠে মসজিদগুলো। এছাড়া মন্দিরে মন্দির ও গির্জাগুলোতেও এ বিষয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।