ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে মহাসড়কের উপরে বর্জ্যরে স্তুপ, মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়

24
ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে মহাসড়কের উপরে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রেখেছেন ভাসমান ফল বিক্রেতারা।

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগর উপজেলার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজারে সড়কের দু’পাশে ভাসমান ফল ব্যবসায়ীদের ফেলে রাখা বর্জ্যে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। নির্দিষ্ট স্থানে এসব ময়লা ফেলার কথা থাকলেও ফল ব্যবসায়ীরা রাতের আঁধারে সড়কের ওপরে ময়লা ফেলে রাখছেন। বৃষ্টিপাতের কারণে এসব আবর্জনা বাজারের অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়ছে। ময়লার কারণে বাজারে মশা-মাছির সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বাজারের পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে এবং আর্বজনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। এ সব ময়লা অপসারণের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই বাজার থেকে সরকার প্রতি বছর বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায় করছে কিন্তু বাজার উন্নয়নে কারো খেয়াল নেই বলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে।
সরজমিন গিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফল ব্যবসায়ীরা বেশ কিছু দিন ধরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওপরে পচা ফল ও ফলের আবর্জনা যত্রতত্র ফেলে রাখছেন। এতে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে বাজারের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বাজারে আসা লোকজন, রোগী, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা দুর্গন্ধের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে ব্যবসায়ীরা বাজার পরিচালনা কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে বিষয়টি অবহিত করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বাজারের ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ করায় মহাসড়কের ওপরে থাকা ভাসমান ফল বিক্রেতারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে উল্টো তাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছেন। এছাড়া বাজারে বিভিন্ন বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হচ্ছে। কিন্তু এসব বর্জ অপসারণ করা হচ্ছে না।
বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, বাজার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য নিয়মিত আমাদের কাছে টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু আবর্জনা পরিষ্কার করা হয় না। বাধ্য হয়ে আমাদেরকে পরিষ্কার করাতে হয়। ভাসমান ফল বিক্রেতারা প্রতিদিন রাতে আমাদের দোকানের সামনে পচা ফল ও আবর্জনা ফেলে রাখছেন। কিন্তু যারা বাজার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তারা এদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলছেন না। এছাড়া মহাসড়কের অংশের দায়িত্বে থাকা শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে ভাসমান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোয়ারা আদায় করায় এসব ভাসমান ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অনান্য সংশ্লিষ্ট কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। এমনকি উপজেলা প্রশাসনসহ এ ব্যাপারে নিরব রয়েছে।
এ বিষয়ে গোয়ালাবাজার পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী তাজ উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে শেরপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্য ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, স্থানীয়দের হস্তক্ষেপের কারণে আমরা অনেক সময় মহাসড়কে থাকা এসব ভাসমান ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে পারি না। তবে মহাসড়কে ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য সবাইকে সর্তক করে দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।