জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান ॥ নতুন প্রজন্মকে পুষ্টিকর খাদ্য বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে

42
জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায়।

‘খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবুন’Ñএ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও দ্বিতীয় বারের মতো বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালিত হয়েছে। সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সম্মেলন কক্ষে জেলা পুষ্টি কমিটি, পুষ্টি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত এনজিও এবং সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে সপ্তাহের সমাপনী উপলক্ষে ২৯ এপ্রিল এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায়ের সভাপতিত্বে¡ সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নুরে আলম শামীম।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে পুষ্টিকর খাদ্য বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। এজন্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুষ্টিকর খাদ্য বিষয়ক সচেতনতা সভার আয়োজন করতে হবে। শিশুদেরকে পুষ্টিকর খাদ্যের গুণাগুণ, শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি সাধন, মানসিকভাবে বিকাশ ঘটিয়ে যাতে বেড়ে উঠতে পারে সেই বিষয়ে সচেতন ও উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। তাই সকলে যদি এক সাথে দেশের উন্নতি ও দেশের মানুষকে সুস্থ্য রাখার জন্যে কাজ করি, তাহলে আমাদের দেশের মানুষকে সুস্থ রাখার যে অঙ্গিকার সেটা বাস্তবায়ন সম্ভব।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা ডা. আহমেদ সিরাজুম মুনীর, সিলেট ইউনিসেফের ডিসট্রিক্ট নিউট্রিশন কো-অর্ডিনেটর মো. রওশন কবির, সিলেট জেলা সুচনা প্রকল্প প্রতিনিধি বজলুর হক জোয়রদার, সিলেট প্রবীণ হিতৈষী সংঘের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে শুরুতে পুষ্টি সম্পর্কে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন আনন্দ নিকেতনের সহকারী শিক্ষক রূপক কান্তি দত্ত, জেলা উজ্জীবন প্রকল্পের প্রতিনিধি জামিল আক্তার ও মো. আব্দুল বাকী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. হিমাংশু লাল রায় আরো বলেন, আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশু, কিশোর, গর্ভবতী মহিলা ও প্রবীণদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করা। পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে খুব কম বয়সে বুড়িয়ে যাওয়াসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এজন্যে তাদেরকে সচেতন করে তুলতে হবে, সবাইকে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্যের বিষয় জানাতে হবে। আমিষযুক্ত খাদ্যের অভাবে প্রবীণদের শারিরীক, মানসিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এ জন্য আমাদের বিশেষ করে প্রবীণদের আমিষ যুক্ত খাবার যেমন, শাক সবজি, ফল মূল, মাছ, মুরগীর মাংস, দুধ খাওয়া দরকার, এসব বিষয়ে তাদেরকে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে শিশু, কিশোর, গর্ভবতী মহিলা ও প্রবীণদের পুষ্টি সম্পর্কিত বিষয় উপস্থাপনা করেন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আমজাদ হোসেন। বিজ্ঞপ্তি