শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে বর্ষবরণের ব্যাপক প্রস্তুতি

18

পহেলা বৈশাখ আবহমান বাংলা ও বাঙালির এক সুবর্ণ দিন। বাংলা নতুন বছরকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেট। নগরীর পূর্ব শাহী ঈদগাহ এলাকার জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হবে বর্ষবরণ উৎসবের। বর্ষবরণ উৎসবটি বেলা ২টায় শুরু হয়ে শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়। পাঁচশত কণ্ঠে বর্ষবরণের গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এছাড়াও উৎসবে থাকছে বাউল গান, মণিপুরী নৃত্য, কাঠি ও ঝুমুর নৃত্য, লোকগান, বৈশাখের গান, দেশের গান ও বৈশাখের কবিতা আবৃত্তি। একই সাথে চলছে একাডেমির চারুকলা বিভাগের প্রশিক্ষণার্থীদের অংশগ্রহণে আল্পনা, মুখোশ তৈরি, হাঁড়ি ও কুলাতে রংকরণ, মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি, মঞ্চ নির্মাণ ও সজ্জিতকরণের কাজ। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মহড়ায় ব্যস্ত একাডেমির প্রশিক্ষণার্থীরা। অনুষ্ঠানে গান, নৃত্য ও আবৃত্তির একক এবং দলীয় পরিবেশনা থাকবে। একক শিল্পী হিসেবে বাউল আবদুর রহমান ও সূর্য্যলাল দাস, শিল্পী শামীম আহমদ, গৌতম চক্রবর্ত্তী, রাজিয়া সুলতানা লাভলী, পলা দাশ গুপ্ত (জুঁই) প্রমুখ অংশ নেবেন। দলীয় পরিবেশনায় থাকছেন রাধারমণ স্মৃতি তর্পণ, একাডেমি ফর মণিপুরী কালচার এন্ড আর্ট, শিল্পাঙ্গন, নবারুণ শিল্পীগোষ্ঠী, সা রে গা মা পা, মুক্তাক্ষর, সিলেট নৃত্যালয়, নাট্যম প্রমুখ সংগঠন। এছাড়া শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিষয়ের শিশু ও সাধারণ বিভাগের প্রশিক্ষণার্থীদের দলীয় পরিবেশনাও থাকবে। এই প্রসঙ্গে জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত জানান, পহেলা বৈশাখের আগের দিন ১৩ এপ্রিল প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ষবরণের চূড়ান্ত মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১৪ এপ্রিল সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য ১১ থেকে ১৩ এপ্রিল শোভাযাত্রার উপকরণ তৈরি করা হবে। এসব উপকরণের মধ্যে নানা ধরণের মুখোশ, বাঘ, হাতি, লক্ষ্মীপ্যাঁচা, কুলা ও ঘুড়ি উল্লেখযোগ্য। ১৪ এপ্রিল শিল্পকলা একাডেমিতে বর্ষবরণ উৎসবে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে শিশুদের জন্য আল্পনা অংকন। জেলা কালচারাল অফিসার বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবে সকলের উপস্থিতি ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। বিজ্ঞপ্তি