ইজ্জতের বিনিময়ে কেনা যে স্বাধীনতা

210

মো: আব্দুল মালিক

অর মাত্র দু বছর পর আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করব। ইতোমধ্যে উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এই স্বাধীনতা আনতে ত্রিশ লক্ষ বাঙালিকে শাহাদত বরণ, দু লক্ষাধিক মা বোনকে নির্মম নির্যাতনের শিকার, এক কোটি বাঙালিকে দেশত্যাগ করতে হয়েছিলো। আর সম্পদ হানিরত কোন হিসাব নেই। এই নিবন্ধে ১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনদের উপর যে পাশবিক অত্যাচার হয়েছিলো তার কিঞ্চিৎ উপস্থাপন করছি।
মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের মা-বোনদের উপর পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা যে পাশবিক অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছিল তা বিশে^র সর্বকালের ইতিহাসকে হার মানিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধে হিটলারের নাৎসী বাহিনী ঈর্ষান্বিত হয়ে ইহুদি জাতিকে ধ্বংশ করার জন্য যে পরিকল্পিত লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞ চালায়, সেই হত্যযজ্ঞেও নাৎসী বাহিনী ইহুদি মহিলাদের উপর এরকম পাশবিক নির্যাতন চালায় নাই, যেভাবে পাকবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা স্বদেশী, স্বজাতি, স্বধর্মী, বাঙালি নারী তথা আমাদের মা-বোনদের উপর চালিয়েছিলো। ১৯৭১ সালে এদেশের যেসব নারী পাশবিকতার শিকার হয়েছিলেন মান-সম্মানের ভয়ে সে সব নারীর মধ্যে অনেকেই বা তার পরিবার সে কথা বেমালুম চেপে গেছেন। ফলে ৭১ এর নারী নির্যাতনের প্রকৃত চিত্র দেশবাসী ও বিশ^বাসী জানতে পারে নি, ভবিষ্যতেও জানতে পারবে না। তবে ঐ সময়কার প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধার করা মহিলাদের কাছ থেকে যেসব বর্ণনা পাওয়া গেছে তা থেকে বিভৎস লোমহর্ষক নারী নির্যাতনের একটি ভয়াবহ চিত্র পাওয়া যায়।
এই হায়েনাদের দল এতটা নরপিশাচ ছিলো যে আমাদের মা-বোনকে আল¬াহর ঘর মসজিদে, রমযানের রোজা অবস্থায় ধর্ষন করেছে। এমন কি তাদের এ দেশীয় সহযোগী রাজাকার, আল বদরদের মা-বোনকেও ধর্ষণ নির্যাতন করতে কার্পণ্য করে নি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি আর্মি রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আসে। এসেই তারা বাঙালি পুলিশদের মেরে ধরে ব্যারাক থেকে বের করে দেয়। বাঙ্গালি পুলিশদের জামাকাপড়, আসবাবপত্র বাইরে ফেলে দেয়। এ সময় ব্যাকের সুইপার পদে কর্মরত ছিলেন রাবেয়া খাতুন। রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘আমাকে একজন খানসেনা ব্যারাকের ক্যান্টিন থেকে টেনে বের করে অন্য একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ শুরু করে। ঐ সময় আমার গায়ে কোন জামাকাপড় ছিলো না। আমি একেবারে বিবস্ত্র ছিলাম। পর্যায়ক্রমে কয়েকজন আমাকে ধর্ষণ করে। একসময় আমি হাউমাউ করে কেদে তাদের হাতে পায়ে ধরে প্রাণ ভিক্ষা চাই এবং বলি তোমরা আমাকে মেরো না আমি তোমাদের সব কাজকর্ম করে দিব। একথা বলার পর একজন সৈন্য আমাকে লাইনে হাজির থাকার কথা বলে ছেড়ে দেয়।’ ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত রাবেয়া খাতুন ঐ ব্যারাকে সুইপারের দায়িত্ব পালন করেন। সেই সুবাদে তিনি অত্যন্ত কাছ থেকে আমাদের মা-বোনদের নির্যাতন স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন। রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘পাক সেনারা রাজাকার ও দালালদের সহযোগিতায় রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও শহরের অভিজাত এলাকা থেকে প্রতিদিন সুন্দরী মহিলা, যুবতী, কিশোরী মেয়েদের ধরে আনতো। লাইনে আনার পর ভাগ করে এদেরকে বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিতো। একদিন রাবেয়া খাতুন দেখতে পান পাক সেনারা পঞ্চাশটি মেয়েকে ব্যারাকের একটি কক্ষে রেখেছে। এদের অনেকের হাতে বইখাতা। সবার চোখ দিয়ে অবিরাম পানি পড়ছে। প্রথমে জানোয়াররা মেয়েদের সমস্ত জামাকাপড় খুলে বাইরে ফেলে দেয়। উলঙ্গ অবস্থায় সবাইকে মাটিতে শুয়ার নির্দেশ দেয়। যারা এ নির্দেশ অমান্য করেছিলো তাদেরকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ শুরু করে। পাকিস্তানি সেনারা যখন মেয়েদের উপর এই ঘৃণ্য অত্যাচার নির্যাতন করছিলো তখন রাবেয়া খাতুন কাজের উছিলায় জানালার পাশ দিয়ে যাতায়াত করে এসব দেখেছেন। পশ্চিমা নরপিশাচরা মেয়েদের শুধু ধর্ষণ করেই থেমে থাকে নি, তারা মেয়েদের স্তন, পেট, উরু, গাল, পাছা, পিঠ প্রভৃতি জায়গা থেকে কামড়ে মাংস তুলে ফেলেছে। প্রতিটি মেয়ের শরীর থেকে অবিরাম রক্ত ঝরছে। কয়েকটি মেয়ের স্তন একেবারে ছিড়ে ফেলেছে। কয়েকজনকে রডের সাথে উপরে ঝুলিয়ে রেখেছে। ২টি মেয়েকে যোনিপথে বেয়োনেট ঢুকিয়ে হত্যা করেছে। ২টি মেয়েকে পাঞ্জাবি হায়েনারা রক্তাক্ত অবস্থায় বাইরে এনে দুদিকে দু পা ধরে ছড় ছড় করে টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে।
বাঙালি মেয়েদের ওপর এই বিভৎস অত্যাচার নির্যাতনে শুধু সাধারণ সৈন্যরা অংশগ্রহণ করতনা, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারাও অংশ নিত। যে সব মেয়ে আত্মরক্ষার্থে আপ্রাণ চেষ্ঠা করতো তাদেরকে টুকরো টুকরো করে বস্তায় ভরে বাইরে ফেলে দিতো। ফলে অন্য মেয়েরা ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে সম্পূর্ণ অনিচ্ছাস্বত্ত্বে জীবনের মায়ায় নিজেদেরকে নরপশুদের হাতে সমর্পণ করতে বাধ্য হতো। কখনো একসঙ্গে অনেকগুলো মেয়েকে সারিবদ্ধভাবে উলঙ্গ করে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো। সেখান থেকে প্রয়োজনমতো পছন্দমাফিক মেয়েকে টেনে নিয়ে যেতো। রাতের বেলা মেয়েদেরকে সম্পূর্ণ উলংগ অবস্থায় গাদাগাদি করে শুইতে দিতো। যাতে তারা গলায় কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করতে না পারে। যে সব কক্ষে বাঙালি মেয়েদের রাখা হতো, সেখানে সব সময় অবাঙালি পাহারাদার থাকত। কক্ষ বাইরে থেকে তালা দিয়ে রাখা হতো। উলংগ এসব মেয়েদের শরীরের নানা অঙ্গে নরপশুরা আঘাত করত, স্তন, পাছার মাংস কেটে নিত, এতসব নির্যাতনের পর ভাগ্য বিড়ম্বিত যেসব মেয়ে মৃত্যু মুখে পতিতহত তাদেরকে লোহার হুক দিয়ে টেনে ময়লার ডিপো বা ম্যানহোলে ফেলে দিত। সুইপার রাবেয়া খাতুন আমাদের মা-বোনদের উপর নির্যাতনের যে বর্ণনা দিয়েছেন প্রায় একই প্রকার বর্ণনা দিয়েছেন বা লাশের সুরতহাল দেখেছেন ঢাকা পৌরসভার ডোম ও সুইপার রক্ষিত, চুন্নু, ছোটন, পরদেশা প্রমুখ। তারা যে সব লাশ অপসারণ করেছেন, সে সব লাশের মধ্যে মহিলাদের লাশগুলো উলংগ, স্তন কাটা, গোপন স্থান ক্ষতবিক্ষত, পাছার মাংস কাটা সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত নির্যাতনের নির্মম দাগ ‎ছিল। তাদের মতে, “ধর্ষণের পর এসব নারীর স্তন সহ বিভিন্ন অঙ্গে অত্যাচার নির্যাতনের পরই তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে বা তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।” নারী নির্যাতনের এসব বিভৎস, নারকীয়, লোমহর্ষক ঘটনার আরো বর্ণনা দিয়েছেন ঢাকা পৌরসভার সুইপার ইন্সপেক্টর ‘সাহেব আলী,’ পুলিশের সুবেদার ‘খলিলুর রহমান’ বাঙালি রিজার্ভ ইন্সপেক্টর অব পুলিশ ‘আব্দুল কুদ্দুস’ প্রমুখ। স্থানাভাবে এই নিবন্ধে তা তুলে ধরা গেল না।
১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন বিক্রম সিং দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে সাতক্ষীরার দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ মাহমুদপুর ঘোনার মাঝামাঝি স্থানে তাঁর গাড়ির সামনে তিন কৃষক ও দুই বালক দাঁড়িয়ে থাকে। যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আচমকা এই ঘটনায় অতি সর্তকতার সহিত গাড়ি থামিয়ে ক্যাপ্টেন বিক্রম সিং যা জানলেন তার মর্মকথা হচ্ছে, অদূরে একটি মসজিদে পাকিস্তানী খান সেনারা ঘাটি করে কয়েক মাস থেকে উক্ত এলাকার ১১টি মেয়েকে আটক করে রেখেছে। এরা মৃত না জীবিত তার কোন খবর তারা পাচ্ছে না। সঙ্গে সঙ্গে ক্যাপ্টেন বিক্রম সিং তার ফোর্স নিয়ে মসজিদের দিকে যান এবং কিছু দূর থেকে গুলি ছুড়েন। পাল্টা জবাব না পেয়ে তিনি মসজিদের কাছে গিয়ে মেয়েদের কান্নার শব্দ শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাঙালিদের ডেকে বলেন, সেখানে পাকিস্তানী সৈন্য নেই। একথা শুনে ঘোনার লোকজন হুড়মুড় করে মসজিদে ঢুকে দেখেন তাদের আদরের ১১জন কন্যা মসজিদের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় একে অপরকে ধরে লজ্জা নিবারনের চেষ্টা করছে, আর অঝোরে কাঁদছে। পাক সেনারা কোন সময় যে এখান থেকে চলে গেছে তা তারা জানে না। ঐ মসজিদের একপাশে পাকসেনারা একটি পায়খানা ঘর করে প্রাকৃতিক ক্রিয়া সম্পাদন করত। আল¬াহর ঘর মসজিদে নারী ধর্ষন, পায়খানা স্থাপন কোন মুসলিম কেন ? কোন পাষন্ড বর্বর বিধর্মী কোন কালে করবে বলে বিশ^াস হয় না।
রাজশাহী জেলার বাগমারার অধিবাসী দেবজান বিবি ও মোলাভান খাতুন জানান, তাদের এলাকায় রমযান মাসে একদিন পাকসেনারা এসে হাজির হয়। তারা বহু মানুষকে হত্যা, বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে। দেবজান বিবি ও মোলাভান খাতুন পালিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু সম্ভব হয়নি। রোজা অবস্থায় পাক সেনারা তাদেরকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এদিকে কুষ্টিয়া জেলায় ঘটে আরেক চাঞ্চল্যকর কাহিনী। উক্ত জেলার একটি থানায় পাক বাহিনী ক্যাম্প স্থাপন করে থানা কাউন্সিল এর ডাক বাংলোতে। বাংলোয় অবস্থানকারী মেজর ও ক্যাপ্টেনদের জন্য প্রতিদিন নতুন মেয়ে সরবরাহের দায়িত্ব ছিল স্থানীয় জামায়াত ও মুসলিমলীগ নেতাদের। তারা রাজাকারদের সহায়তায় প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রাম থেকে সুন্দরী মেয়েদের ধরে এনে মেজর ক্যাপ্টেনদের দিত। বাংলোর পাশেই কচুরিপানা ভূর্তি একটি পুকুর ছিল। প্রতিদিন দু’একটি মেয়ের লাশ এই পুকুরে ভেসে উঠত। পাক বাহিনীর নারী ধর্ষণ প্রসঙ্গে এখানে একটি চমৎকার ঘটনা ঘটে। একদিন পাকিস্তানী সৈন্যরা স্থানীয় রাজাকার কমান্ডারকে সঙ্গে নিয়ে মেজরের জন্য সুন্দরী মেয়ের খোঁজে বের হয়। সমস্ত গ্রাম খোঁজে তারা কোন সুন্দরী মেয়ের সন্ধান না পেয়ে রাজাকার কমান্ডারের বাড়িতে আসে। এখানে এসে সৈন্যরা উক্ত রাজাকারের ঘরে তার ষোড়শী সুন্দরী কন্যাকে দেখতে পায়। ঐ রাজাকারের বাড়িতে সৈন্যরা আনন্দ করে ভাল খাওয়া দাওয়া শেষে রাজাকারকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে তার স্ত্রী, বোনসহ বাড়ির অন্যান্য মহিলাদের ধর্ষন করে। যাওয়ার সময় সৈন্যরা রাজাকারের কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে যায়। কয়েকদিন পর এই কন্যার লাশ কচুরিপানা ভর্তি ঐ পুকুরে ভেসে উঠে। এই ঘটনায় রাজাকার কমান্ডার পরে পাগল হয়ে গিয়েছিল বলে জানা যায়।
পাকিস্তানী বাহিনীর এদেশীয় দোসররা তাদের পশ্চিমা প্রভুদের খুশি করার জন্য শুধু মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগ, স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি বা শত্র“তা বশত: অন্যের মা-বোন, বধূ-কন্যাকে ধরে নিয়ে যেতো না, প্রয়োজনে তাদের স্ত্রী কন্যাকেও তুলে দিত। তার প্রমাণ পাওয়া যায় বুরুঙ্গামারির একটি ঘটনা থেকে। পাকিস্তানীদের বুরুঙ্গামারি দখলের পর অধ্যক্ষ কামরুদ্দিন সহ অন্যান্য কয়েকজন এবং স্থানীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল লতিফ পাক সেনাদের সহযোগিতে পরিণত হয়। মাওলানা আব্দুল লতিফ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ দেওয়া, তাদের ধরিয়ে দেওয়া, সুন্দরী মেয়েদের ধরে এনে দেওয়াসহ নানা কুকর্মে জড়িয়ে পড়ে। সে হয়ে ওঠে পাকিস্তানীদের একজন বিশ্বস্থ সহচর। আরো বিশ্বস্ত, আরো ঘনিষ্ট হওয়ার জন্য শয়তান ইমাম আব্দুল লতিফ মাওলানা তার দুই স্ত্রীর মধ্যে ছোট স্ত্রী, সুন্দরী, অল্প বয়সীকে মিথ্যা কথা বলে বুরুঙ্গামারি হাই স্কুল ক্যাম্পে মেজরের কাছে নিয়ে যায়। মেজর সারারাত ঐ মহিলার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পাকিস্তানী নরপশুরা পালাক্রমে ঐ মহিলাকে এমনভাবে ধর্ষণ করে এক পর্যায়ে মহিলা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এদের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মহিলা পাগল হয়ে যান। বুরুঙ্গামারি বাজারের উত্তরে নলুয়ারপাড়ে উক্ত আব্দুল লতিফ মাওলানার বাড়ি। সংবাদ পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা তাকে ধরতে যায়, শাড়ি পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় সে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়ে এবং তাকে হত্যা করা হয়।
নারী নির্যাতনের এই খন্ডচিত্র থেকে ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের নারী নির্যাতনের বিভৎসতার গভীরতা সম্পর্কে কিছুটা উপলব্ধি করা যায়।
যেসব মা-বোনদের জীবন ও সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা, স্বাধীনতার মাসে রইল তাদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা।