পশ্চিম কাজিরবাজারে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত, দোকান ভাংচুর

79
গুরুতর আহত মিজান ভূইয়া।

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর পশ্চিম কাজিরবাজারে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে এক ব্যবসায়ীকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কাঁঠালহাটার মুখে জননী টেলিকমের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা তার জননী টেলিকমের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও ক্যাশে থাকা বিকাশের টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
আহত মিজান ভুইয়া (৪৫) চাঁদপুর সদর থানার বালিয়া গ্রামের মৃত মতি ভূইয়ার পুত্র। বর্তমানে তিনি শেখঘাট সৌরভ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। আহত মিজানকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার গলা দা’র গুরুতর আঘাত থাকায় ১৯টি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসারা জানিয়েছেন।
আহত মিজান ভূইয়ার বড় ভাই মোস্তাফা ভূইয়া জানান, নগরীর মোঘলটুলা এলাকার আব্দুল্লা আল মামুন পারভেজ নামের এক ব্যক্তি জননী টেলিকমের স্বত্ত্বাধিকারী মিজান ভূইয়ার কাছ থেকে গত প্রায় ৫ মাস পূর্বে কয়েকদিনের মধ্যে পরিশোধের কথা বলে ৫৮ হাজার টাকা দার নেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে মিজান পারভেজকে পেয়ে তার পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য বললে উভয়ের মধ্যে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির শুরু হয়। এক পর্যায়ে পারভেজ তার ভাইকে মারধর করে চলে যায়। তিনি বলেন, কিছুক্ষণ পর পারভেজের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সঞ্জিত হয়ে ১০/১২ জন দোকানে এসে মিজানের উপর হামলা চালিয়ে তার গলায় ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে হামলাকারীরা তার দোকানের কম্পিউটার, সিসি ক্যামেরা, দোকানের গ্লাস ভাংচুর ও ক্যাশ বাক্্ের থাকা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, আহত মিজানের গলায় দা’র আঘাতে প্রচুর রক্তক্ষণ হওয়ার তার ক্ষতস্থানে ১৯টি সেলাই দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নূরে আলম জানান, পাওনা টাকা নিয়ে মিজানকে আহত করেছে পারভেজ নামের এক ব্যক্তি। তাকে আহত অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দোকানে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, দোকানের ভেতরে ঢুকার ব্যবস্থা নেই। দোকানের সামনে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। দোকানের ভেতর বা ক্যাশ বক্্র লুট হয়নি বলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, তাদের হামলায় দোকানের সামনের শুধু গ্লাস ও টেবিলের গ্লাস ভাংচুর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্ব আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।