সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর-মেয়র আরিফসহ ২৮ জন হাজিরা দিলেন ॥ ৭ মার্চ চার্জগঠন ও সাক্ষ্যগ্রহণ ॥ কিবরিয়া-সুরঞ্জিত হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা

179
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সহ আদালতে উপস্থিত আসামীরা। ছবি- রেজা রুবেল

স্টাফ রিপোর্টার :
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত হত্যা-বিস্ফোরকের ৪ মামলায় বিএনপি’র সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর-সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুর ও হবিগঞ্জের পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গৌছসহ ২৮ অভিযুক্তরা আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তারা এ হাজিরা দেন।
তবে ২৯ আসামীর মধ্যে গতকাল ২৮ আসামী আদালতে উপস্থিত থাকলেও অপর এক আসামী উপস্থিত না থাকায় আদালতের বিচারক মো: রেজাউল করিম মামলার চার্জগঠন ও সাক্ষীগ্রহণ আগামী ৭ মার্চ নির্ধারণ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর ( স্পেশাল পিপি) এডভোকেট কিশোর কুমার কর।
কিশোর কুমার কর বলেন, আদালতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিকে গউছসহ সব আসামি উপস্থিত হলেও মাওলানা শেখ আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন না। যে কারণে আদালতের বিচারক মো: রেজাউল করিম সাক্ষ্যগ্রহণ ও মামলার চার্জগঠন পিছিয়ে আগামী ৭ মার্চ নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদি হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ। এই মামলার সর্ব শেষ সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে ২০১৬ সালে। ওই সময় পর্যন্ত ১৭১ সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান এডভোকেট কিশোর।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। ঘটনার পরদিন ২৮ জানুয়ারি তৎকালীন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য এডভোকেট আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দু’টি মামলা করেন।