শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন

56

২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ২০১০ সালে চূড়ান্ত শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হলেও এখন পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। যদিও শিক্ষানীতির ২৮টি অধ্যায়ে শিক্ষার বিভিন্ন স্তর, ধারা, ক্ষেত্র, পাঠক্রম, নারীশিক্ষা, শিক্ষা প্রশাসন, শিক্ষার্থীকল্যাণ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষকের মর্যাদা ও অধিকার, স্তর-নির্বিশেষে গৃহীতব্য পদক্ষেপ প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।
২০১০ সালে প্রণীত চূড়ান্ত শিক্ষানীতিতে বলা আছে, প্রাথমিক শিক্ষার স্তর হবে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আট বছরব্যাপী। শিক্ষার দক্ষতা বৃদ্ধি ও সৃজনশীল চিন্তার উন্মেষ ও বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে শিক্ষা গ্রহণ প্রক্রিয়া ও শিক্ষার মান অর্জনের জন্য গাইড বই, নোট বই, প্রাইভেট, টিউশনি ও কোচিং বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এসবের অপকারিতা বিষয়ে সচেতন করা হবে; শিক্ষকদের মর্যাদা, অধিকার এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য নিশ্চিত করতে স্তর-নির্বিশেষে সব শিক্ষকের জন্য পৃথক বেতনকাঠামো প্রণয়ন করা হবে। কিন্তু এসবের বেশির ভাগই বাস্তবায়িত হয়নি শুধু একটি আইনের অভাবে। শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে যে আইনের প্রয়োজন ছিল, তা ছয় বছর ধরে নানা জটিলতায় আটকে আছে।