কথা রাখলো বিএনপি, উপহার পেলেন মিজান

38

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) সংসদীয় আসনে ২৩ দলীয় জোট বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী। শুক্রবার বিকালে গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে এ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী তারা মনোনয়নও দাখিল কারেন। মিজান চৌধুরীরর মনোনয়ন পাওয়াকে নেতাকর্মীরা মনে করছেন বিএনপি কথা রেখেছে। জেলা বিএনপির কমিটির গঠনের সময়ই এ সিদ্ধান্ত ছিলো।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের সময় নাছির উদ্দিন চৌধুরী সভাপতি ও কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠনের দাবি ছিলো নেতা কর্মীদের। শেষে কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন নিজে সভাপতি এবং নুরুল ইসলাম নুরুলকে সাধারণ সম্পাদক করে প্যানেল জমা দিলে মিজান চৌধুরীও সভাপতি প্রার্থী হন। ২০১৭ সালের ২২ মে সোমবার রাত ১১ টায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতির পদ প্রার্থী কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন এর সাথে দলীয় চেয়ারপার্সন সাংগঠনিক বিষয়ে কথা বলেন এবং জানান যিনি সভাপতি হবেন তিনি এমপি প্রার্থী হতে পারবেন না। এ সময় চেয়ারপার্সন কলিম উদ্দিন মিলনকে সভাপতি হিসাবে চুড়ান্ত করেন। একই সাথে আগামী নির্বাচনে সুনামগঞ্জ ৫ আসনে মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজানকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার ঘোষণা দেন। নেত্রীর সেই সিদ্ধান্ত উভয় নেতা মেনে নিয়ে একসাথে কাজ করার ওয়াদা করেন। তাই মিজান চৌধুরীর মনোনয়নকে নেত্রীর উপহার হিসেবে দেখছেন নেতাকর্মীরা।
২০১৭ সালের ২৬ মে শুক্রবার কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনকে সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরুলকে সাধারণ সম্পাদক করে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য মিজানুর রহমান চৌধুরী ২০০৮ সালের নির্বাচনেও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। ২০০৯ সালে ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে তিনি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।