বিশ্বনাথে দেড় শতাধিক গাছ গোড়াতেই কাটলো বিদ্যুৎ বিভাগ !

35

জাহাঙ্গীর আলম খায়ের বিশ্বনাথ থেকে :
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার নাম করে বিদ্যুৎ লাইনের নিচে থাকা ছোটবড় প্রায় দেড়শতাধিক গাছ একেবারে গোড়াতেই কেটে ফেলা হয়েছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে নির্বিচারে এসব গাছ কাটায় বিশ্বনাথ পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছেন এলাকাবাসী। বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ডিজিএম, এজিএম ও রামধানা সাব-স্টেশনের সিনিয়র ইনচার্জের উপস্থিতিতে গাছ কাটায় শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছেন তারা।
তবে, গোড়ায় গাছ কাটা নিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের কর্মকর্তা ও উপজেরা বনকর্মকর্তার ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। পল্লীবিদ্যুৎ বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ডিজিএম সামিউল কবিরের মতে, গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দেয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ লাইনের ১০ ফুটের ভেতরে থাকা গাছ ও ডালপালা কর্তনের নিয়ম থাকায় এ গাছগুলো গোাড়তে কাটা হয়েছে। আর উপজেলা বন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীনের মতে, বিদ্যুৎ লাইনের নীচে কিংবা দেশের কোথাও ডালপালা ছাটাই ছাড়া গোড়াতে গাছ কাটার কোন নিয়ম আছে বলে তার জানা নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীসহ এলাকাবাসী জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রামধানা সাবে-স্টেশন থেকে রামধানা দক্ষিণপাড়ার লিয়াকত আলীর বাড়ীর সামন পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাছ কাটেন বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা। বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ডিজিএম, এজিএম ও রামধানা সাব-স্টেশনের সিনিয়র ইনচার্জের উপস্থিতিতে এলজিইডি সড়কের পাশের গাছগুলো গোড়তে কাটা হয়। কিন্তু ডালপালা ছাটাই করার কথা থাকলেও নিজস্ব আইনে রেইনট্রি, অর্জুন, কুল, জলপাই, লাটিম ও জারুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোটবড় প্রায় ১৫৭টি গাছ একেবারেই গোড়ায় কেটে ফেলেন তারা। এ সময় নির্বিচারে গোড়াতেই গাছ কাটায় ডালপালা নেয়ার মহোৎসব সৃষ্টি হয়। যে-যারমতো করে সবক’টি গাছ ও গাছের ডালপালা নিয়ে যান উপস্থিত ‘রামধানা, টেক-কামাপর ও শেখেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা।
পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে জানিয়ে ‘রামধানা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’র সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, এলজিইিডির সঙ্গে চুক্তি করে দীর্ঘ কয়েক বছর আগে গাছগুলো তারা লাগিয়েছেন। আর কারো সঙ্গে কোন কথাবার্তা না বলে পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তারা ইচ্ছা করেই গাছগুলো গোড়াতে কেটে ফেলেছেন।