হোটেলে রুটি দিতে দেরি হওয়ার দক্ষিণ সুরমায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

68

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকায় হোটেলে রুটি দিতে দেরি হওয়ার জেরে দু’পক্ষের সংর্ঘষে অনন্ত ৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল বৃস্পতিবার দুপুর আড়াইটা দিকে নাঈম সিএনজি পাম্পের সামনে খানবাড়ি ও পাঠানপাড়া লোকদের মধ্যে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। সংর্ঘষ চলাকালে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে সংঘর্ষে আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কদমতলী রুচি রেস্টুরেন্টে বসে রুটির অর্ডার করেন খান বাড়ির এক বাসিন্দা। তখন ঐ হোটেলের শ্রমিক রুটি দিতে বেশি সময় নেন। এ নিয়ে ঐ হোটেল শ্রমিককে মারপিট করেন খান বাড়ির বাসিন্দা। এতে বাধা প্রদান ও খানবাড়ির বাসিন্দাকে মারপিট করেন পাঠানপাড়ার বাসিন্দা সিপু, ফরহাদ, মেহেদি হাসানসহ আরো অনেকেই। মারপিটের পর খানবাড়ির বাসিন্দা ওই লোক এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দেরকে বিষয়টি জানালে এলাকায় জড়ো হওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়। এরপর কদমতলী এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের সৃষ্টি হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা ও মোগলাবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অন্য একটি সূত্র জানায়, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, খানবাড়ি ও পাঠানপাড়া লোকদের মধ্যে হোটেলে রুটি খাওয়া নিয়ে সংর্ঘষের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা ও মোগলাবাজার থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াব বলেন, দক্ষিণ সুরমায় সংর্ঘষের খবর পেয়ে মোগলাবাজার ও দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি পুলিশ নিয়ে গিয়ে ঘটনা শান্ত করেন। বর্তমানে সেখানে পরিস্তিতি শান্ত রয়েছে।