বিশ্বনাথে উদ্ধার হওয়া লাশের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ১

99

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রেমের অভিনয় করে টাঙ্গাইল থেকে রুমি আক্তার (১৬) নামের কিশোরীকে বিশ্বনাথে এনে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শফিক মিয়া (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে গত মঙ্গলবার ভোরে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শফিকের বাড়ি বিশ্বনাথের রামচন্দ্রপুর গ্রামে। শফিক মিয়াই কিশোরী রুমি আক্তারকে হত্যা করে বলে গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান।
বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়নের একি বাড়ির রাস্তার পাশে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন নাম্বারের সূত্র ধরে এ হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়। তিনি জানান, গ্রেফতার শফিক টাঙ্গাইলের নাছির গ্লাস ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। ওই ফ্যাক্টরি থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সে আরও ৪টি বিয়ে করেছে। বিশ্বনাথ থানায় দায়েরকৃত গণধর্ষণ মামলারও পলাতক আসামি শফিক।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই জেলার মির্জাপুর থানার আতাউর রহমানের মেয়ে রুমি আক্তার। একই হাসপাতালে শফিকের শাশুড়িও চিকিৎসাধিন ছিলেন। সেখানেই তাদের পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের অভিনয় করে রুমিকে বিশ্বনাথে নিয়ে আসে শফিক। এরপর তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। রুমিকে হত্যার দৃশ্য শফিকের এক ভাবি দেখে ফলেন বলেও জানান এসপি। এঘটনায় শফিকসহ এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফিক রুমিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, বৃহস্পতিবার শফিককে আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে। শফিক দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে নীরিহত মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে পেলে একের পর এক হত্যা ও ধর্ষণ করে বেড়ায় বলেও মন্তব্য করেন পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।