সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীর অভিযোগ ॥ জকিগঞ্জে আব্দুল মুমিন হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ

36

স্টাফ রিপোর্টার :
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আসামিদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার সিলেট প্রেসক্লাবে নিহত আব্দুল মুমিনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে সেলিনা আক্তার বলেন, তার স্বামী মুমিনের সাথে চাচা শশুর ও তার সন্তানদের বাড়ির পুকুর ও জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজনের সাথেও মসজিদ নিয়ে তার স্বামীর পূর্ব বিরোধ চলছিল। এসব ঘটনায় তার বাসুর আরু হোসেনকে মারধর করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। মারধরের ঘটনায় আব্দুল মুমিন বাদী হয়ে কাওছার গংদের বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি পক্ষের লোকজন প্রতিশোধ নিতে সুযোগ খুঁজতে থাকে। গত ২০ মার্চ দিবাগত রাতে তার স্বামী মুমিন রাতের খাবার শেষে বাড়ির পাশে রাস্তায় মোবাইল ফোনে আলাপ করছিলেন। এমন সময় কাওছার গংরা অন্তত ১৫/২০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুমিনের উপর হামলা চালায়। চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে আসার পূর্বেই সন্ত্রাসীরা মুমিনকে মৃত মনে করে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৬ মার্চ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মুমিন। এই ঘটনায় বাড়ির লোকজন ঢাকায় থাকা অবস্থায় পুলিশ তাকে জকিগঞ্জ থানায় ডেকে নিয়ে যায়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোর করে তার ইচ্ছেমতো কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করান। মামলা নং ৩৮/১৮। ঘটনার রাতে একজন এবং পরেরদিন আরেকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামিদের পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করেনি। আসামিরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত তাকে হুমকি দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিষয়টি পুলিশকে অবগত করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সেলিনা বলেন, মামলার বিষয়ে থানা পুলিশ কোনো পদক্ষেপও নিচ্ছে না, অন্যদিকে আসামিরা তার দুটি শিশু সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় তিনি খুব ভয়ে ও আতঙ্কে দিন পার করছেন। তিনি ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের উর্ধ্বতন মহলের প্রতি অনুরোধ জানান।