ছাতকে গৃহবধূর রহস্যময় মৃত্যু, এলাকায় গুঞ্জন

30

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকের পল্লীতে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের মঈনপুর কোনাপাড়া গ্রামে। দু’সন্তানের জননী সাজনা বেগম (৩০) মঈনপুর গ্রামের ফয়জুল ইসলামের স্ত্রী ও বসস্তপুর গ্রামের আশিক মিয়ার বোন।
স্বামীর পরিবারের দাবী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে সাজনা বেগম। অপরদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের তনকুস মিয়ার পুত্র নিহতের ভাই আশিক মিয়াসহ পরিবারের লোকজন বলছে, পরকিয়ার টানে সাজনাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ঘটে আসছিল। রোববার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। সোমবার সকালে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা সাজনা বেগমের লাশ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানার এসআই শফিকুল ইসলাম সুরতহাল তৈরী শেষে লাশ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এ সময় গৃহবধূর মাথায় ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়। সাজনা বেগমের স্বামী ফয়জুল ইসলাম রবিবার রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, অভিমানে সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের বড় ভাই আশিক মিয়া জানান, স্বামীর পরকিয়ায় বিরোধিতা করায় প্রায়ই সাজনাকে মারপিট করতো তার স্বামী ফয়সল। পরকিয়ার বিষয়টি চরিতার্থ করতেই সাজনাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাজনার শরীওে আত্মহত্যার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তবে মাথার ডান দিকে ও ডান পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আশিক মিয়া বাদি হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ করে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানা গেছে। এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের পর হত্যা না আক্সহত্যা বিষয়টি জানা যাবে।