গোয়াইনঘাটে কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার দাবী সচেতন মহলের

44

কে, এম, লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট কলেজের সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মো. ফজলুল হককে নিয়ে কিছু অতি উৎসাহি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
ব্যক্তিগত অবৈধ স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে কতিপয় রাজনৈতিক কুশিলব গোয়াইনঘাটের আধুনিক শিক্ষার রূপকার গোয়াইনঘাট ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মো. ফজলুল হক ও তার ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের হেয়প্রতিপন্ন করতে একটি মহল তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, মনগড়া ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।
এ ঘটনায় গোয়াইনঘাটের সচেতন মহল অভিভাবক এবং সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন গোয়াইনঘাট ডিগ্রী কলেজ পরিদর্শনকালে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, যেখানে সারা দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলই আশানুস্বরূপ হয়নি। সেখানে গোয়াইনঘাট কলেজে ৪৫.৩০% ফলাফল অর্জন করেছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিজ্ঞান শাখায় ৬১.২৫%, মানবিক শাখায় ৪১.৬৮% ও বাণিজ্য শাখায় ৩৮.৩০% শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
বর্তমান অবস্থায় এই ফলাফলকে কেন্দ্র করে একজন জননন্দিত অধ্যক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন এবং বিতর্কিত করার জন্য নোংরা ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। ঘৃণ্য এ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র শুধু ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেই নয়। আমরা মনে করি এ ষড়যন্ত্র উত্তর সিলেটের অন্যতম এই ভাল কলেজের বিরুদ্ধে। আর এ বিষয়টিকে পুঁজি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার পায়তারায় ব্যস্ত রয়েছেন স্বার্থান্বেষী একটি রাজনৈতিক মহল।
গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুভাষ চন্দ্র পাল (ছানা) বলেন, ফলাফল বিপর্যয় নিয়ে একজন শিক্ষাবিদকে বিতর্কিত করা ঘৃণ্য রাজনীতির বহি:প্রকাশ। তিনি বলেন অধ্যক্ষ ফজলুল হক শুধু গোয়াইনঘাট কলেজেই নয়, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ও শিক্ষার মান তরান্বিত করার অন্যতম হাতিয়ার। তার বিচক্ষনতায় গোয়াইনঘাট ডিগ্রী কলেজের নিজস্ব তহবিল হতে চার তলা বিশিষ্ট দুটি বিশাল ভবন নির্মিত হয়েছে। এ ছাড়াও সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ’র হস্তক্ষেপে এ কলেজটিকে জাতীয়করণে উন্নীত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ ফজলুল হক এ কলেজের উন্নয়নে অন্যতম অংশীদার। তাই তিনি এ ব্যাপারে বিভ্রান্ত না হতে সর্বস্তরের জনসাধারণকে অনুরোধ জানান।
বদরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী জানান, কোম্পানীগঞ্জ পাথর রাজ্যের কুখ্যাত চাঁতাবাজ গন্ডমূর্খ পাথর শামীম কিভাবে একজন শিক্ষাবিদকে নিয়ে আবুলতাবুল মন্তব্য করেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর প্রিয় অভিভাবক অধ্যক্ষ ফজলুল হককে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরুপ মন্তব্যকারী শামীমসহ অপরাপর মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।