পরীক্ষার্থীদের উপর থেকে চাপ কমাতে ॥ জেএসসিতে পরীক্ষা ও নম্বর কমানোর উদ্যোগ

30

কাজিরবাজার ডেস্ক :
শিক্ষার্থীদের পড়ার চাপ কমাতে শিক্ষাবিদদের পরামর্শের পর এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। প্রাথমিকভাবে অষ্টম শ্রেণি শেষে নেয়া পরীক্ষা জেএসসি এবং মাদ্রাসায় জেডিসিতে পরীক্ষা কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কমানো হবে নম্বর।
এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায়। এজন্য ২৭ মে এনসিসিসির সভা ডাকা হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলা প্রথম এবং দ্বিতীয় পত্র আর ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের আলাদা পরীক্ষা না নিয়ে দুই পত্রের পরীক্ষা হবে এক সঙ্গে। পাশাপাশি চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষাও আর নেয়া হবে না।
রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে ৮ মে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা এই পরীক্ষায় বিষয় এবং নম্বর কমানোর প্রস্তাব করেছিলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন। উপস্থিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে পড়াশোনার চাপ কমানোর জন্য বিষয় এবং নম্বর কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরফলে শিক্ষার্থীদের মাথার ওপর থেকে বইয়ের বোঝার চাপ কিছু হলেও কমবে।’
সভায় শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি সাত বিষয়ে মোট ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করে। বর্তমানে চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি বিষয়ে মোট ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, জেএসসিতে বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলে ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা হবে। ইংরেজিতেও দুই পত্র মিলে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এখন পর্যন্ত দুই পত্রের জন্য দুটি পরীক্ষা হয়, দুটি পত্র মিলিয়ে মোট নম্বর থাকে ১৫০।
প্রস্তাব অনুযায়ী ৫০ নম্বরের চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা দিতে হবে না শিক্ষার্থীদের। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিকভাবে এই মূল্যায়ন করা হবে। তবে গণিত, ধর্ম, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা আগের মতো আগের নম্বরেই হবে।