এসএমপি’র মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ সভা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স

12
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় বক্তব্য রাখছেন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া।

স্টাফ রিপোর্টার :
এসএমপি’র পুলিশ লাইন্সে মাসিক কল্যাণ সভা ও সদর দপ্তর নাইওরপুলে মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ও দুপুরে এ সভা দু’টি অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া বিপিএম, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সকল পুলিশ সদস্যদের কল্যাণ সংক্রান্ত বিষয়ে মতামত গ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পবিত্র ঈদ-উল- ফিতরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করায় তিনি সকল পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান এবং পরবর্তীতে আরো ভালোভাবে কাজ করার জন্য সকল অফিসার ও ফোর্সদের নির্দেশ দেন। পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিতব্য কল্যাণ সভায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল অফিসার ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দুপুর ১২ টায় এসএমপি’র সদর দপ্তর নাইওরপুলে মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া বিপিএম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় এসএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষসহ সকল উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ সহ র‌্যাব-৯ এর প্রতিনিধি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি, হাইওয়ে পুলিশের প্রতিনিধি, মহানগর পিপি মফুর আলী, পিবিআই সিলেট এর প্রতিনিধি ও সি.আই.ডি সিলেট এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সভায় সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ তাদের থানা এলকার আইন-শৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। জনবান্ধব পুলিশি সেবা প্রদানের জন্য এবং সিলেট শহরবাসী যাতে সর্বোচ্চ পুলিশি সেবা পায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য সকল অফিসারদের নির্দেশ প্রদান করেন পুলিশ কমিশনার। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন এবং মাদকদ্রব্য উদ্ধার জোরদার করার জন্য সকলের প্রতি আহব্বান জানান।
সভায় মাসের ভালো কাজের জন্য কোতোয়ালী থানার এসআই শেখ মোঃ ইয়াছিন, শাহপরাণ (রহঃ) থানার এসআই রাজিব কুমার রায়, মহানগর ডিবির এসআই মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ও এসআই/ শাওন মাহমুদ অপু, ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মামুনুর রশিদ ভূইয়া ও সার্জেন্ট নুরে আলম সিদ্দিকি, এয়ারপোর্ট থানার এএসআই আহসান কবিরকে অধিক পরিমানে গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, মাদকদ্রব্য উদ্ধার, সর্বোচ্চ প্রসিকিউশন দাখিল ও জরিমানা আদায় করার জন্য পুরস্কৃত করা হয়।