বিশ্বম্ভরপুর

19

নেছার আহমদ নেছার

যেথায় চোখ তোলে দেখিছি
আমার স্বপ্নময় এই সুন্দর পৃথিবী
সেই নিভৃত জননী আমার,
বিশাল বিস্তৃত হাওরের পারে,
নিষ্ঠুর অবহেলার নিদারুণ চিত্রগুলো
আমায় কষ্ট দিতো,

বুকের মাঝে সারাক্ষণ বেদনার শিহরণ
উৎকন্ঠিত করে রাখতো আমায়।
আমি কাউকে কিছু বলতে পারিনি
বুকের মাঝে জমে থাকা কষ্ট
প্রকাশও তখন করতে পারিনি,

লালন করে চলছি শুধু নিরবে অনুভবে।
মাঝে মাঝে শহরাগত লোক দেখে
বিস্মিত হতাম,
আমাদের মাঝে এই মানুষগুলো কত বেমানান,
কতনা পার্থক্য জীবন যাত্রায়।

জীবনবোধের ব্যতিক্রম এই দৈন্যতা
আমাকে আহত করতো,
ভাবতাম এ কেমন পার্থক্য !!
এ পার্থক্য কি কোনদিন ঘুচানো যাবে না?
অনুভবে নিষ্ঠুরতার নির্মমতা আমাকে
কষ্ট দিত— বিবেকটা উৎকন্ঠায় ছটফট করতো!
কখন- ঘুচবে এই পার্থক্যÑ
শিক্ষা ও সুযোগ সুবিধার আলোটা
জ¦লবে কখন?

কেউ জ¦ালিয়ে দাও না—-
দাও না-জ¦ালিয়ে !!
আমার সত্ত্বা আমার অস্তিত্বটা যে–
বড় কাঙ্গাল ছিল আলোকিত জীবনের প্রত্যাশায়,
তাই-এই জনপদের সমস্যাগুলো
দৈনিক জালালাবাদীতে লিখতে শুরু করলাম।

চলছে এখনও— কমলটা চলছে—
তবে, কোন খ্যাতি নেই— প্রতিষ্ঠাও নেই,
তোষামোদী শিখিনী তাই– জীবন চলছে জীবনের পথে।
তবুও আমি আছি-আমার সত্ত্বায় জড়িয়ে
আছে আমার প্রিয় জন্মস্থান,
এখনও অনেক স্বপ্ন দেখি আলোকিত পথে
হয়তো বা সে নয় অনেক সুদূর———
নিশ্চয়– নিশ্চয় একদিন আলোকিত হবে বিশ^ম্ভরপুর॥