সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের শুনানি শুরু, আগামীকাল সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের শুনানী

57

কাজিরবাজার ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের বিভিন্ন আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণসংক্রান্ত আপিলের ওপর প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়েছে। শনিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এই শুনানি হয়।
নীলফামারী ৩, রংপুর ১ ও ৩, কুড়িগ্রাম ৪ আসন; চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১, সিরাজগঞ্জ ১ ও ২, পাবনা ১ ও ২ আসন এবং পিরোজপুর, ১, ২ ও ৩ আসনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে এই শুনানি।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের জন্য নির্বাচন কমিশন গত ১৪ মার্চ ৪০টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনে ৩০০ আসনের খসড়া গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এর পক্ষে বিপক্ষে দাবি ও আপত্তি গ্রহণ করে কমিশন। এতে আপত্তি জানিয়ে ৪০৭টি এবং ইসির পক্ষ সমর্থন করে ২২৪টি আবেদন জমা পড়ে। এসব আপত্তির পর শনিবার থেকে শুনানি শুরু হলো। আগামীকাল ২৩ এপ্রিল খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের, ২৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম এবং ২৫ এপ্রিল ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন আসনের শুনানি হবে। শুনানি শেষে ৩০ এপ্রিল চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের কথা রয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাসহ সব কমিশনার শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন।
শুনানি শেষে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত খসড়া গেজেটে আপত্তি জানিয়েছেন তিনি। এই জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘খসড়া সীমানাটি ভৌগোলিক কারণে অযৌক্তিক। এটা কার্যকর হলে আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের চার ঘণ্টা নদীপথ পার হয়ে সংসদ সদস্যদের কাছে যেতে হবে।’
এদিকে সীমানার গ্যাজেট বহাল রাখার দাবি করেন কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দশম সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সংসদীয় আসন যে রকম ছিল, কমিশনের খসড়ায় তাই আছে। কমিশন যে খসড়া করেছে আমরা তাকে স্বাগত জানাই। আমরা চাই, সীমানা যেন এভাবেই বাস্তবায়ন হয়। কুড়িগ্রাম-৪ আসনের খসড়ার পক্ষে ১২টি ও বিপক্ষে ২৮টি আবেদন পড়েছে।