বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১৫

20

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথে সোমবার সকালে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অনন্ত ১৫জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আহতরা হলেন- শাহিন আহমদ, সুহেল আহমদ, আজাদ মিয়া, শাহজাহান মিয়া, কয়েছ মিয়া, আলী হোসেন, বিশ্বনাথ থানার এসআই সবুজ কুমার নাইডু, এএসআই পরিমল। বাকি আহতদের তাৎক্ষনিক নাম জানা যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার টেংরা গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধি শাহিন আহমদ ও একই গ্রামের অটোরিকশা চালক মঈন উদ্দিনের মধ্যে রবিবার বিকেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মঈন উদ্দিনের অটোরিক্সা গাড়ির প্লাস ভাংচুর করা হয়। এতে দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এমন খবর পেয়ে স্থানীয় মুরব্বীসহ লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এসময় এলাকার মুরব্বী মুজিরুল ইসলাম চৌধুরী তকদির, সিতার মিয়া, সায়েকুর রহমান, ইরমান মিয়া, হুশিয়ার আলী. আশিক আলী ইন্তাজসহ বেশ কয়েকজন বিষয়টি শালিস মাধ্যমে নিস্পত্তির উদ্যোগ গ্রহন করেন। এতে উভয় পক্ষ রাজি হলে আগামী বুধবার সালিশ বৈঠকের আহবান করা হয়। কিন্তু সোমবার সকালে ফের উভয় পক্ষের লোকজনের পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ অনন্ত ১৫জন আহত হন। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি নিস্পত্তির চেষ্ঠা চলছে বলে স্থানীয়রা জানান।
এ ব্যাপারে টেংরা গ্রামের সিতার মিয়া বলেন, এলাকার শাহিন উদ্দিন ও মঈন উদ্দিনের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গত রোববার বিকেলে বিরোধ দেখা দেয়। এতে স্থানীয় মুরব্বীবৃন্দসহ আমরা কয়েকজন বিষয়টি নিস্পতির লক্ষে আগামী বুধবার সালিশ বৈঠক আহবান করি। কিন্তুসোমবার সকালে জানতে পারি তাদের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আহত পুলিশ সদস্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করেছেন বলে তিনি জানান।