ধর্ষণ মামলায় একজনের ৫ বছরের কারাদন্ড

25

স্টাফ রিপোর্টার :
গোলাপগঞ্জে ৪ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষন মামলায় এক লম্পটের ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের শিশু আদালত ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এ. এম. জুলফিকার হায়াত এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম- সায়েম আহমদ উরফে সায়েম (২০)। সে গোলাপগঞ্জ থানার নিজ ঢাকা দক্ষিণ গ্রামের সফিকুর রহমানের পুত্র। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলো।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, আসামী একই বাড়ির বাসিন্দা হওয়ায় বাড়ির অন্যান্য ছেলে মেয়েদের সাথে খেলাধূলা করার সময় ৪ বছরের শিশু কন্যা তার ঘরে যাওয়া আসা করতো। ২০১৬ সালের ৫ মার্চ দুপুর ২ টার দিকে লম্পট সায়েম আহমদ উরফে সায়েম ৪ বছরের শিশু কন্যাকে মজা দেয়ার লোভ দেখিয়ে তার ঘরের একটি রুমে নিয়ে ধর্ষন করে। টিনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে তার ভাই ঘটনাটি দেখতে পেয়ে তাদের ঘরের এসে তার মা ও ফুফুকে বিষয়টি জানায়। তারা ঘটনাটির খবর শোনে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে চিৎকার করে লোকজন আসতে থাকলে এ সুযোগে লম্পট সায়েম আহমদ পালিয়ে যায়। পরে তারা ধর্ষিত ওই শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসাপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ধর্ষিত শিশু কন্যার পিতা সিএনজি অটোরিক্রা চালক আব্দুর নূর বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় একমাত্র লম্পট সায়েম আহমদ উরফে সায়েমকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৪ (০৬-০৩-২০১৬)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ মে গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন একমাত্র সায়েম আহমদ উরফে সায়েমকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং একই বছরের ১০ আগষ্ট থেকে আদালত এ মামলার বিচারকায্য শুরু করেন। দীর্ঘ শুনানী ও ১৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামী সায়েম আহমদ উরফে সায়েমকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/০৩) এর ৯ (৪) (খ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে উল্লেখিত দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট মো: নিজাম উদ্দিন ও আসামীপক্ষে এডভোকেট মোহাম্মদ মিসবাহুর রহমান এবং বাদিপক্ষে এডভোকেট মো: জালাল উদ্দিন মামলাটি পরিচালনা করেন।