শ্যালক হত্যার ঘটনা ॥ দুলাভাইয়ের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে হত্যার দায় স্বীকার

21

স্টাফ রিপোর্টার :
শ্যালক হত্যার ঘটনায় দুলাভাই ফয়সল আহমদ আদালতে ফৌজধারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী-৩) মো: মামুনুর রশীদ সিদ্দিকীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করা হয়। প্রায় দেড় ঘন্টা জবানবন্দী দেয়ার পর আটক ফয়সলকে পুলিশ আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট লকাপের ইনচার্জ এএসআই শফিকুল আলম।
এদিকে, সোমবার দুপুরে শহরতলীর খাদিমপাড়া চা বাগান থেকে অপহৃত উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসা ছাত্র আল আমিন (১৭)’র লাশের ময়না তদন্ত ওসমানী হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে। পুলিশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে লাশটি হস্তান্তর করেছে। নিহত আল-আমিন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র ছিলো।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন জানান, সোমবার সিলেট মহানগর আমলী-৩ নম্বার আদালতের বিচারক মো: মামুনুর রশীদ সিদ্দিকীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটক ফয়সল আহমদ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী আয়েশার সাথে মনোমালিন্য ছিল ফয়সল আহমদের। গত কিছুদিন ধরে আয়েশা বাবার বাড়িতেই থাকছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফয়সল ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটান বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সে উল্লেখ করে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার মাদ্রাসার ছাত্র আল আমিনকে (১৬) অপহরণ করে শহরতলির খাদিম চা বাগানে নিয়ে হত্যা করেন ফয়সল আহমদ (২৭)। আল আমিন নগরীর শেখঘাট ভাঙ্গাটিকরপাড়ার ৩নং বাসার নুরুল ইসলাম টুটুলের পুত্র। পরদিন রবিবার বিকেলে পুলিশ আল আমিনের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় দক্ষিণ সুরমা মোগলাবাজার থানার সিলাম টিকরপাড়ার মৃত লাল মিয়ার পুত্র ফয়সল আহমদ।
গত শনিবার ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কিছুই না জানার ভান করে শ্বশুর বাড়িতে আসে ফয়সল। এ সময় বাড়ির লোকজন তার কাছে আল-আমিনের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন জানি না। তার কথাবার্তা ও আচরণ সন্দেহ হলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশের রাত ভর জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিনকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেনি ফয়সল। রবিবার দুপুরে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সল জানান, আল আমিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খাদিমপাড়া চা বাগানের ভেতরে রেখে এসেছে। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে চা বাগানের পথে রওয়ানা দেয়। কিন্তু বাগানে যাওয়ার আগেই ফয়সল পুলিশের কাছে স্বীকার করে আল আমিনকে সে হাত-পা বেঁধে গলা টিপে হত্যা করে লাশ বাগানে ফেলে রেখেছে।