দক্ষিণ সুরমায় বৃদ্ধা খয়রুল নেছা হত্যা মামলায় ৩ সহোদর গ্রেফতার

33

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজারের ধরমপুরে বৃদ্ধা খয়রুল নেছা হত্যা মামলায় ৩ সহোদরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে মোগলাবাজার থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- মোগলাবাজার থানার ধরমপুর গ্রামের মৃত ইছবর আলীর পুত্র আনোয়ার আলী (৪০), তার ভাই আকরম (৩০) ও আজমল আলী (৩৫)। মঙ্গলবার পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের সিএমএম (আমলী-৩) আদালতে হাজির করে। পরে আদালতের বিচারক মো: মামুনুর রশিদ সিদ্দিকী তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, একই এলাকার মৃত সোনাহর আলীর পুত্র মো: আব্দুর রহমানের সাথে আনোয়ার আলী গংদের দীর্ঘদিন যাবত জমি জমা নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আনোয়ার আলী গংরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সঞ্জিত হয়ে আব্দুর রহমানের ঘরে প্রবেশ করে জমির দলিল খোঁজাখুঁজি করে বসত ঘর লুটপাট চালায়। এ সময় তাদের আব্দুর রহমান বাধা দিলে তারা তার পরিবারকে এলোপাতাড়ি মারধরে আহত করে এবং মহিলাদের শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ সময় তাদের চিৎকারে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে বৃদ্ধা খয়রুল নেছাকে (৭৫) উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টার দিকে খয়রুল নেছা চিকিতসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আব্দুর রহমান বাদি হয়ে প্রধান আসামী মৃত আইয়ুব আলীর পুত্র লিয়াকত আলী ও আনোয়ার আলীসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে মোগলাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১ (০২-১০-১৭)। এ মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ৩ সহোদর আনোয়ার আলী, আকরম ও আজমল আলীকে গ্রেফতার করে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে সোর্পদ করে। পরে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ারুল হোসাইন জানান, মামলার এজাহারনামীয় ৩ আসামী আনোয়ার আলী, আকরম ও আজমল আলীকে গ্রেফতার করে গতকাল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার এজাহারনামীয় ১ নাম্বার প্রধান আসামী লিয়াকত আলীসহ অন্য আসামীদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।