কামালের খুনীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে ফুঁসে উঠছে সালুটিকরবাসী

108

সালুটিকরের নিহত এম কামাল উদ্দিনের খুনীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে ফুঁসে উঠছেন এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর বহর গ্রামের কৃতি সন্তান, বহর আলোর দিশারী তরুণ সংঘের সভাপতি, সিলেট স্টোডেন্ট হেল্প সোসাইটির সভাপতি ও সিলেট মহানগর ইয়াং স্টার ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক এম কামাল উদ্দিনের খুনীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে ফুঁসে উঠছেন এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গত শনিবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এক বিশাল মানববন্ধন করেছেন তারা। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েকশো লোকজন অংশ নেন। স্টুডেন্ট হেল্প সোসাইটির সভাপতি মো: এখলাছুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও সিলেট মহানগর ইয়াং স্টার ক্লাবের সভাপতি জুনায়েদ আহমেদ এবং স্টোডেন্ট হেল্প সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোছাব্বির এর যৌথ পরিচালনায় উক্ত মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন একে নিউজ মিডিয়ার নিউজ এডিটর সাংবাদিক আনোয়ার হোসাইন, মানবাধিকার পরিবেশ সাংবাদিক সোসাইটি সিলেট এর সভাপতি শেখ মোঃ লুৎফুর রহমান, নবদূত সামাজিক সংগঠনের চেয়ারম্যান কে এম রফীকুজ্জামান, গোয়াইনঘাট সংবাদের সম্পাদক এম এ রহীম, সালুটিকর ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সাবেক সভাপতি এস এম বুরহান উদ্দিন, বহর আলোর দিশারী তরুণ সংঘের সভাপতি জালাল সিদ্দিকী, ইয়াং স্টার ক্লাবের সহ সভাপতি জামাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক তারেকুল ইসলাম, বহর আলোর দিশারী তরুণ সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল আহমদ,আব্দুল হক,শেখ আহমদ, রাশেল, রাইয়ান, মুজাম্মিল,জাকির হোসেন, আরিফ, ফাহিম, মাহফুজুর রহমান, খলিল প্রমুখ।
মামলার এজহারে প্রকাশ, নিহত এম কামাল উদ্দিন গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৬টায় নিজ বাড়ি সালুটিকর বহর হতে নগদ এক লক্ষ টাকা, মোবাইল, প্যান্ট-সাট, সু পরিয়া শাহিন নামের তার এক বন্ধুর সাথে কোথায় যাবে বলে বের হয়। ঐদিন রাত ১০টা পর্যন্ত বাসায় না ফিরলে তার বড় ভাই লুৎফুর রহমান মোবাইলে ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পান। ফলে শাহিন কে ফোন করলে সে জানায়, কামাল রাত ৮ ঘটিকা পর্যন্ত তার সাথে ছিল। এর থেকে সে আর জানে না। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকলে শাহিন বার বার নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্ত্রে থানায় ডায়রী করার কথা বলে। এ অবস্থায় ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর লুৎফুর রহমান সিলেটের স্থানীয় পত্রিকা মারফতে জানতে পারেন যে, দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ দক্ষিণ সুরমা-সুনামগঞ্জ বাইপাস রোডের লতিফুর নামক স্থানের রাস্তার পশ্চিম পাশ থেকে একটি মৃত দেহ উদ্ধার করেছে এবং ময়না তদন্ত শেষে আন্জুমানে মুফিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে মানিকপীর টিলার কবর স্থানে মৃত দেহটি দাফন করা হয়েছে। আত্মীয় স্বজন দক্ষিণ সুরমা থানায় এসে থানার অফিসার ও ফোর্সদের নিকট থেকে তাদের মোবাইল ফোনে তুলা মৃত দেহের ছবি দেখে এম কামাল উদ্দিনের মৃত দেহ বলে সনাক্ত করেন। পরে নিহত কামাল (২৬) এর সহোদর লুৎফুর রহমান বাদী হয়ে শাহিন আহমদ (২৬) পিতা মৃত সুরুজ আলী, সাং আঙ্গারজুর, থানা গোয়াইনঘাট , সিলেট গং কে আসামী করে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং – ১০, এ ঘটনায় এদিনই শাহিন কে আটক করে পুলিশ। নিহত কামালের সাথে থাকা ১ লক্ষ টাকার লোভে ও সাবেক পাওনা ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা যাতে আদায় করতে না পারে সে জন্য ধৃত শাহিন এই ঘটনা করেছে। মামলার এজহারে এমন অভিযোগ করেছেন বাদী লুৎফুর রহমান। নিহত কামাল উদ্দিন বহর গ্রামের মৃত ইদ্রিছ আলির ছেলে। ৭ ভাই বোনের মধ্যে সব ছোট ছিল সে। সিলেটে ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে চাকুরী করত। এম কামাল তার নিজ গুণ ও যোগ্যতা বলে গ্রাম, এলাকা ও উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর এমনকি দেশে বিদেশে এত কম বয়সে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছিলেন। এই মর্মান্তিক হত্যা কান্ড সিলেটের সচেতন মহল কে ভাবিয়ে তুলছে। সর্বত্র ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। মর্মান্তিক এই হত্যাকান্ডে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। বিজ্ঞপ্তি