বিয়ানীবাজারে কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় থানায় অভিযোগ, বিয়ের অঙ্গীকার

23

বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
yyyyবিয়ানীবাজারের পল্লীতে এক কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে বখাটেরা। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্তে গিয়ে ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করেছে। উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের কোনা শালেস্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শ্লীলতাহানীর শিকার ওই ছাত্রী স্থানীয় বৈরাগীবাজার আইডিয়াল কলেজে লেখাপড়া করছে। এদিকে মামলা থেকে রক্ষা পেতে বখাটেদের একজন ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করার মৌখিক অঙ্গীকার করেছে।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। বখাটে ওই ছেলে মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমরা আপাতত: মামলা নিচ্ছিনা।’
সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ভোরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে কলেজ পড়–য়া ওই মেয়েটি ঘরের বাইরে বের হয়। এ সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের শফিক উদ্দিনের ছেলে জুবের আহমদ (২৬) ও তার অপর সহযোগী মেয়েটিকে ঝাপটে ধরে তার শ্লীলতাহানী ঘটায়। পুরো ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ধারণ করে জুবেরের সাথে থাকা তার অপর আরেক সহযোগী। এদিন বিকেলেই ওই ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বখাটে জুবের আহমদের পক্ষের লোকজন মেয়ের পরিবারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। স্থানীয় বাহার উদ্দিন, বিলাল, মুন্না ও কালাম দফায়-দফায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার মাকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পিতৃহীন পরিবারে মেয়ের মা তাতে সম্মত হননি।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সকালে ভিকটিমের মা বিয়ানীবাজার থানায় জুবেরকে প্রধান আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মেয়েটির মা জানান, ‘বিয়ানে উঠিয়া আমার ফুড়ি (মেয়ে) টয়লেটও যাওয়াত লাগছে। ই-সময় জুবের মোল্লায় আমার ফুড়িরে আইনজা (ঝাপটে) করিয়া ধরিয়া খারাপ কাম করছে। ইতা আবার তার লগর (সাথের) এক পুয়ায় মোবাইলও তুলিয়া রাখছে।’ তিনি আরোও অভিযোগ করেন, ‘জুবের মোল্লা প্রায় আমার ফুড়িরে (মেয়ে) যন্ত্রণা দিত।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুর জানান, ‘তদন্তে গিয়ে ভিডিও ফুটেজটি উদ্ধার করেছি। মেয়েটির মানষিক অবস্থা বিপর্যস্ত থাকায় তার সাথে কথা বলতে পারিনি।’
শেওলা ইউপি চেয়ারম্যান জহুর উদ্দিন জানান, ছেলেটি ওই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হওয়ায় আমরা তিন লাখ টাকা মোহরানা ধার্য্য করে বিয়ের কথাবার্তা পাকা করেছি। উভয়পক্ষের লিখিত অঙ্গিকারনামা নেয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান জহুর আরোও জানান, এখনো মেয়েটির বিয়ের বয়সের ২ মাস ১ইদন বাকী। তাই বয়স পূর্ণ হওয়ার পর এ বিয়ে হবে।