শাবির রেজিষ্ট্রার সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ॥ কানাইঘাটে মধ্যযুগীয় কায়দায় বাক-প্রতিবন্ধীর স্ত্রীকে নির্যাতন

30

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট দীঘিরপার পূর্ব ইউপির দর্পনগর পূর্ব গ্রামে গত রবিবারে শারীরিক ভাবে অসুস্থ এক বাক-প্রতিবন্ধীর স্ত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শাবিপ্রবির সহকারী রেজিষ্ট্রার ও তার স্ত্রী সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় নির্যাতিতার ভাই বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা যায় দীঘিরপার পূর্ব ইউপির দর্পনগর পূর্ব গ্রামের বশির আহমদ চৌধুরীর পুত্র বাক-প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরীর সহায় সম্পত্তি তার ভাই শাবিপ্রবির সহকারী রেজিষ্ট্রার সুফিয়ান হোসেন চৌধুরী তার পিতা গাছবাড়ী জামিউলুলুম কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ বশির আহমদ চৌধুরী সহ পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন হতে আত্মসাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন। বাক-প্রতিবন্ধী অসুস্থ স্বামীর সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য তার স্ত্রী রুকিয়া বেগম (৪০) ও তার পরিবারের লোকজন এতে বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বশির আহমদ চৌধুরী গংরা। প্রায় ২ মাস পূর্বে বাক-প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ হোসেন ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ৩০ হাজার টাকার অনুদান পান। উক্ত টাকা বাক-প্রতিবন্ধী পুত্রের কাছ থেকে পিতা বশির আহমদ ও ভাই সুফিয়ান হোসেন কলাকৌশল করে নিয়ে যান। ঈদ করার জন্য হোসেন ও তার স্ত্রী রুকিয়া বেগম টাকা গুলি ফেরত চাইলে এতে চরম ক্ষিপ্ত হয়ে সুফিয়ান হোসেন চৌধুরী ও তার স্ত্রী শাপলা বেগম (৩০) বশির আহমদের নাতনী মার্জানা বেগম (১৯) গংরা গত রবিবার সকাল অনুমান ৬ টার দিকে বাক-প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ হোসেনের বসত ঘরে চড়াও হয়ে লোহার রড লাঠিসোটা নিয়ে তার স্ত্রী রুকিয়া বেগমকে ধরে মধ্যযুগীয় কায়দায় পিটিয়ে অমানষিক নির্যাতন করে। হামলা কারীরা রুকিয়া বেগমের শরীরে একাধিক স্থানে শারীরিক নির্যাতন করে রক্তাক্ত জখম করে। এলোপাতাড়ি ভাবে রুকিয়াকে পিটুনির ফলে তার শরীর ফুলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে রুকিয়া বেগম উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। মামলার বাদী রুকিয়া বেগমের ভাই আবুল হারিছ জানিয়েছেন, তার বোন জামাই শারীরিক ভাবে অসুস্থ ও বাক-প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার সম্পত্তি আত্মসাতের চক্রান্ত করা হলে তার বোন রুকিয়া বেগম এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবর, জ্যা মিলে আমার বোনের উপর যে ধরনের অমানষিক নির্যাতন করেছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ঘটনাটি সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তির জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে আবুল হারিছ জানিয়েছেন। সুবিচার না পেলে থানায় দায়েরকৃত অভিযোগটির পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের জন্য আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান।