মেলা না হাট চলবে এই নিয়ে বিভ্রান্তি, তবে চা শ্রমিকরা চায় মেলা

33

স্টাফ রিপোর্টার :
লাক্কাতুরা চা বাগানের সর্বস্তরের শ্রমিকরা চায় তাদের মাঠে ঈদের দিন পর্যন্ত হস্ত ও কুটির শিল্প মেলা অব্যাহত থাকুক। কারণ এতে করে শ্রমিকরাই লাভবান হবেন। মেলা আয়োজকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে উন্নয়ন হবে বাগানের মসজিদ মন্দিরসহ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া বাগান শ্রমিকদের নানা সামাজিক কর্মকান্ডে ব্যয় হবে এ টাকা। যে কারণে মেলার পক্ষেই অবস্থান বাগান শ্রমিকদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিসহ সাধারণ শ্রমিকদের। শুধু তাই নয় হাট দিয়ে বাগান শ্রমিকদের কোন লাভ নেই। কারণ এ থেকে প্রাপ্ত কোন অর্থ চা শ্রমিকদের কোন উন্নয়নে ব্যয় হয় না।
লাক্কাতুরা চা বাগান শ্রমিক নেতা রাজু গোয়ালার সাথে আলাপকালে জানিয়েছেন, মেলার জন্য ২৮ আগষ্ট পর্যন্ত বাগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মাঠ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তারা এ সময় পর্যন্ত মেলা চালানোর কথা। তিনি বলেন, তবে যারা কোরবানী পশুর হাটের জন্য সদর উপজেলা পরিষদ থেকে মাঠ ইজারা নিয়েছেন তারাও একটি নির্দিষ্ট সময় থেকে মাঠ ব্যবহার করতে পারবেন। রাজু গোয়ালা বলেন, সত্যি কথা যেটি মেলা হলে আমরা কিছু টাকা পেতাম। যা ব্যয় হত চা বাগানের মসজিদ, মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। তিনি বলেন, মেলার আয়োজক এমএ মইন খান বাবলু এ মেলায় প্রচুর টাকা ইনভেষ্ট করেছেন। আমরা চাই না তিনি কোন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তবে পশুর হাটের সাথে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের একটি বিষয় জড়িত থাকায় এ নিয়েও যেন কোন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে এটাও আমরা চাই না।
মেলার আয়োজক এম এ মইন খান বাবলু বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়া সহ নানা কারণে মেলা ১৫ দিনের মতো বন্ধ ছিল বলা যায়। আমরা মাত্র ১৫ দিনের মত মেলা করতে পেরেছি। অথচ আমরা বাগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এক মাসের জন্য মাঠ বরাদ্দ নিয়েছি। তিনি বলেন আমরা ব্যবসায়ীরা এখানে প্রায় দেড় কোটি টাকার মত ইনভেষ্ট করেছি। এ অবস্থায় যদি মেলা শেষ করতে হয় তাহলে আমরা কি পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হবো তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় নাই। পাশাপাশি যে মহৎ ও মানবিক উদ্দেশ্য সামনে রেখে মেলার আয়োজন করা হয়েছিল সেই লক্ষ্যও অর্জিত হবে না। এম এ মইন খান বাবলু বলেন, একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়িয়ে মেলার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তিনি এ ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে কোন বিভ্রান্তিতে কান না দেওয়ার আহবান জানান।