ফেঞ্চুগঞ্জে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে, আশ্রয়হীন বন্যপ্রাণী মারা পড়ছে

34

ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সময় অতিক্রমের সাথে বাড়ছে পানির আক্রমণ। অসহায় হয়ে পড়েছেন উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষ। বাড়ি ঘরে পানি উঠায় মাথা গুজার জায়গাটুকু হারান শত শত মানুষ। এসব মানুষের দুর্ভোগ কমাতে উদ্দ্যোগ নেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুরে জান্নাত।
শুক্রবার ফেঞ্চুগঞ্জ জেনারেল ওসমানী সড়কের চণ্ডি প্রসাদ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে খোলে দেওয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র খোলার সাথে সাথে দশটি পরিবারের প্রায় পঞ্চাশ জন মানুষ এখানে আশ্রয় নেন।
আশ্রয় নেওয়া এক ব্যক্তি জানান, পরিবার শিশু বৃদ্ধ নিয়ে বিপাকে ছিলাম। এখানে আশ্রয় পেয়ে আমরা এখন নিরাপদে আছি। আর সাঁতার না জানা শিশু নিয়ে আতংকিত থাকতে হবে না।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুধী মহল বলেন,  এ আশ্রয় কেন্দ্র খোলায় নিরাপদে থাকার একটা স্থান হয়েছে বন্যা কবলিত মানুষের। পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষাও মিলবে।
এদিকে চারিদিকে বন্যার পানি। হাজার হজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। থাকা খাওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে। দিন দিন পানি বাড়ায় বন জঙ্গল পানিতে ডুবে যায়। বিপাকে পড়ে নানা জাতের বন্য প্রানী। নিরুপায় হয়ে মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিতে এসে মারা পড়ছে তারা।
প্রতিদিনই নানা জাতের বন্যপ্রাণী মারা হচ্ছে। এতে করে প্রানীগুলো বিপন্ন হবার আশংকা রয়েছে। মারা যাওয়া বন্যপ্রাণীর মধ্যে শিয়াল, বাগডাস, বন বিড়াল, মেছো বাঘ, সাপ ইত্যাদি বেশি মারা হচ্ছে।
আশ্রয় ও খাদ্যের অভাবে নিরুপায় হয়ে বন ছেড়ে লোকালয়ে আসা বন্য প্রানী মানুষের আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কিছুদিন থেকে উপজেলার, মানিককোনা, হাওরেরতলা, সুলতানপুর, গঙ্গাপুর এলাকায় অনেক বন্যপ্রাণী মারা পড়েছে।
পরিবেশের জন্য বন্যপ্রাণী বাচানো জরুরী কিন্তু বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষেরই থাকা খাওয়া কঠিন এ অবস্থায় বন্যপ্রাণীতে নজর দেবার সুযোগ মিলছে না। ক্রমাগত পানি বাড়ার কারনে দিশেহারা বন্যপ্রাণী গুলো রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
সংবাদ সংগ্রহে গেলে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মানুষেরই জীবন ধারন করা যাচ্ছে না এর মাঝে প্রানীর কথা কি বলব। এলাকায় বিকালে ও রাতের বেলা চির শত্রু শিয়াল ও কুকুরকে এক সাথে ঘুরতে দেখা যায়। এবার বুঝেন অবস্থা কি!!
মানুষের চরম দুর্বস্থায় বন্যপ্রাণীর খবর হাস্যকর লাগতে পারে কিন্তু এগুলো ও পরিবেশের উপাদান। তাই আপদকালিন সময়ে প্রানীগুলো কে ধরে স্থানান্তর করে জীব ভারসাম্য রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।