সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ॥ বায়নামাকৃত ভূমি অন্যত্র বিক্রি করতে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হয়রানি

41

স্টাফ রিপোর্টার :
অধিক মূল্য পেয়ে বায়নামাকৃত ভূমি অন্যত্র বিক্রির পাঁয়তারা করছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী ওসমানীনগর থানার রাউৎখাই গ্রামের জবারুন নাহার বেগম। একই সাথে মৌরসি সম্পত্তির বাড়ি থেকে সন্ত্রাসী দিয়ে গাছ কেটে নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করলেন একই গ্রামের মৃত আব্বাস উল্লাহর পুত্র আব্দুল খালিক শায়েস্তা মিয়া।
জবারুন নাহারকে অত্যন্ত চতুর ও দুরুন্ত মহিলা উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে শায়েস্তা মিয়া বলেন, এই মহিলা তার অংশের ৩৫ শতক ভূমি আমার ভাতিজা যুক্তরাজ্য প্রবাসী কামাল আহমদের নিকট ১৭ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে যুক্তরাজ্যে বায়নামা করেন। বায়নামাকালে জবারুন নাহারকে আমার ভাতিজা ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। কথা ছিল দুজনে একসাথে দেশে এসে অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করে দলিল রেজিস্ট্রি করা হবে। কিন্তু চতুর জবারুন গোপনে কামাল আহমদকে না জানিয়ে সম্প্রতি দেশে চলে আসেন। দেশে এসেই কিছু দুষ্ট প্রকৃতি লোকের প্ররোচণায় ও সহযোগিতায় বায়নামাকৃত ভূমির অধিক মূল্য পেয়ে অন্যত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন। বিষয়টি আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না করতে অনুরোধ করি। এতে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় তার সাথে থাকা আবুল মিয়া, তোতা মিয়া, ছায়দুল ইসলাম লিটন ও মজম্মিল আলী গংরা আমার উপর আক্রমণ করতে আসে। আমি কোনো মতে সেখান থেকে চলে আসি। পরবর্তীতে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত গত ১৩ এপ্রিল উক্ত ভূমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
আব্দুল খালিক আরো বলেন, ১৩ এপ্রিল আদালতে ১৪৪ ধারা জারির পর আদালতের আদেশ অমান্য করে জবারুন নাহার বেগম গত ১৮ এপ্রিল আমাদের মৌরসি সম্পত্তির বাড়ি থেকে সেগুন, বেলজিয়াম, একাশি, ফজলি আম ও সুপারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দেড়শত বৃক্ষ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কেটে ফেলেন। আমরা বাড়িতে না থাকায় নির্বিঘেœ গাছ কেটে ট্রাকে বোঝাই করে নিয়ে যায়। আমি গত ২০ এপ্রিল ওসমানীনগর থানায় আবু মিয়া গংদের আসামি করে আমাদের ভূমি থেকে গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করি। ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিনি বলেন, জবারুন নাহার বেগম সত্যকে আড়াল করতে আমাদের উপর চাঁদাবাজিসহ একের পর এক মামলা দায়ের করছেন। জবারুন নাহার বেগম অন্যত্র ভূমি বিক্রি করতে না পেরে প্রতিশোধ নিতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২২ এপ্রিল আমিসহ কয়েকজনের উপর একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জবারুন নাহার বেগম ও তার সহযোগী আবুল মিয়া গংদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসসহসহ সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।