জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আতিক মিয়া (১৯) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছেন। তিনি জগন্নাথপুর পৌর শহরের জগন্নাথপুর দীঘিরপার গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথপুর গ্রামের বড় দীঘি পুকুরটিতে দীর্ঘদিন ধরে মাছের চাষ করছেন একই গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল জলিল ময়না। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে পুকুরে একটি মাছ ভেসে উঠে। ওই মাছটি ধরার চেষ্টা করে একই গ্রামের সাজু মিয়া। এ সময় আব্দুল জলিল ময়নার লোকজন বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ওই দিন রাত ৮ টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সাজু পক্ষের আতিক মিয়া (১৯) ও শিকন্দর আলী (২০) আহত হন। এ সময় মাথায় রামদার আঘাতে গুরুত্বর আহত কিশোর আতিক মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আতিক মিয়ার মৃত্যু হয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র নেমে আসে শোকের ছায়া। এ ঘটনায় আহত আতিক মিয়ার পিতা লাল মিয়া বাদি হয়ে প্রতিপক্ষের আব্দুল জলিল ময়না, বাচ্চু মিয়া, মমিনা বেগম, কাওছার মিয়া, আউয়াল মিয়া, তানভীর মিয়া, কালাই মিয়াসহ ৭ জনকে আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার আসামি একই গ্রামের লেবু মিয়ার স্ত্রী মমিনা বেগমকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতকে গতকাল বুধবার সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এস আই কবির উদ্দিন জানান, এ মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।