স্টাফ রিপোর্টার :
চাঁদের হাট ক্লিনিকের নাম দিয়ে লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে নগরীর হাউজিং এটেস্ট থেকে যুবতীসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে ও দিনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে-নগরীর আখালিয়া নোয়াপাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র মাহফুজুর রহমান (৫৬), হাউজিং এটেস্টের তফর আলীর পুত্র হুমায়ুন কবির (৩৫), ক্লিনিকের ম্যানেজার আখন্দর (৪৫), এমডি সাজ্জাদুর রহমান (৪২), দিলরুবা বেগম (২৩), কুলসুমা বেগম (২২), ফাহমিদা বেগম (২৪), জাহিদা বেগম (২৫) ও তাহমিনা বেগম (১৮)। এরা সবাই ওই চাঁদের হাট ক্লিনিকের সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, নগরীর হাউজিং এটেস্ট এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে প্রতারক চক্ররা চাঁদের হাট ক্লিনিক নামের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে। বিভিন্ন লোকজনকে পার্টনার করে সরকারের অনুমোদন ছাড়া এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে আখন্দর ও সাজ্জাদুর রহমান ও তার সহযোগীরা। পরে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি ভূঁয়া। মুল মালিক প্রতিষ্ঠানের অন্যান্যদের রেখে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশ ওই কথিপয় প্রতিষ্ঠানটি নজরে রাখে। গতকাল পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন জানান, ভুয়া চাঁদের হাট ক্লিনিকের নাম দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে আখন্দর ও সাজ্জাদুর রহমান সহযোগীরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। গতকাল অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই ক্লিনিকের কর্মকর্তাসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, আটককৃতদের বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যাদেরকে এ ঘটনার সাথে জড়িত পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হবে। বাকিদের ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানান ওসি।