হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
বানিয়াচং উপজেলার উত্তর সাঙ্গর শেখ সামছুল হক কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর চেষ্টাকারী দুই লম্পটকে সালিশ বৈঠকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও কয়েক হাজার মানুষের সামনে জুতার মালা গলায় দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করানো হয়েছে। সেই সাথে সিএনজি অটোরিক্সা সমিতির পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা ও ভাড়া নির্ধারণ করে এলাকাবাসীর সথে অটোরিক্সা শ্রমিকদের বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়।
শনিবার উত্তর সাঙ্গর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হবিগঞ্জ মার্চেন্ট এসোসিয়েশন সভাপতি আলহাজ্ব রহিছ মিয়ার সভাপতিত্বে ও ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন খন্দকারের পরিচালনায় সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দক্ষিণ বানিয়াচংয়ের ৫টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হন। বৈঠকের শুরুতে সিএনজি অটোরিক্সা চালক মোজাফফর ও তার সহযোগী জিলাই মিয়াকে জনতার আদালতে হাজির করেন ইকরাম গ্রামবাসী। তারা উভয়েই ইকরাম গ্রামের বাসিন্দা। বৈঠকে নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীকে উপস্থিত রেখে সালিশ বিচার শুরু করা হয়। সালিশে সুজাতপুর ইউপি চেয়ারম্যান এনাম খান চৌধুরী ফরিদ দুই লম্পটকে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও গলায় জুতার মালা দিয়ে জনতার সামনে ঘুরে ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব অনুযায়ী সালিশের রায় ঘোষণা করা হয়। সে লম্পট মোজাফফর ও জিলাই মিয়া গলায় জুতার মালা পড়ে উপস্থিত সকলের সামনে ঘুরে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
সালিশ বৈঠকের ২য় পর্বে শহরের উমেদনগরস্থ স্ট্যান্ডে অটোরিক্সা চালক ও শ্রমিকদের দ্বারা উত্তর সাঙ্গর গ্রামের লোকজনকে আটকের ঘটনায় অটোরিক্সা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে জেলা অটোরিক্সা মালিক সমিতির সহ-সভাপতি হবিগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর আবুল হাসিম দুঃখ প্রকাশ করেন। সভায় ওই রুটের অটোরিক্সা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উত্তর সাঙ্গর গ্রামের শেখ সামছুল হক কলেজের এক ছাত্রী হবিগঞ্জ শহর থেকে প্রাইভেট পড়া শেষে অটোরিক্সাযোগে বাড়ি ফেরার পথে অটোরিক্সা চালক মোজাফফর ও তার সহযোগী জিলাই মিয়া যৌন হয়রানির চেষ্টা চালায়।