সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, কাল্পনিক ও উদ্ভট কল্পকাহিনী বানিয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেয়া অন্যায় মৃত্যুদন্ডাদেশের রায় জাতি মেনে নেয়নি। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এটিএম আজহারের আইনজীবী বলেছেন, একাত্তরে পাকিস্তানী সেনাদের সঙ্গে ট্রেন থেকে আজহারকে নামতে যে তিনজন দেখেছেন বলে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাদের কেউ দেখেছেন ৬ কিলোমিটার দূর থেকে, কেউ ৩ কিলোমিটার, আবার কেউ দেখেছেন দেড় কিলোমিটার দূর থেকে। এসব সাক্ষ্যের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড দেয়া ‘অষ্টম আশ্চর্যজনক ঘটনা’। এই ন্যায়ভ্রষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মৃত্যুদন্ডাদেশের রায় জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করার বাকশালী ষড়যন্ত্রের বহি:প্রকাশ। দেশপ্রেমিক জনতা এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করে জামায়াত আহূত বুধ ও বৃহস্পতিবারের হরতালের প্রথম দিন বুধবার সর্বাত্মক হরতাল পালন করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে এটিএম আজহার সহ সকল রাজবন্দীদের নিশঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গণবিস্ফোরণে রূপ নিবে। যা নিয়ন্ত্রণ করা অবৈধ সরকারের পক্ষে কখনো সম্ভব হবে না।
গতকাল বুধবার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে দেয়া অন্যায় ও অবিচারমূলক মৃত্যুদন্ডাদেশের রায়ের প্রতিবাদে জামায়াত আহূত বুধ ও বৃহস্পতিবারের হরতালের প্রথম দিন বুধবার ভোর থেকেই নগরী জুড়ে পিকেটিং শেষে মিছিল সমাবেশ করেছে সিলেট মহানগর জামায়াত। নগরীর মিরাবাজার, নয়াসড়ক, শেখঘাট, মেডিকেল রোড, দক্ষিণ সুরমা ও শাহপরান গেইট সহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ, সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট আব্দুর রব, জামায়াত নেতা এডভোকেট জিয়াউদ্দিন নাদের, মাওলানা মুজিবুর রহমান, শামীম আহমদ, মু. আজিজুল ইসলাম, আনোয়ার আলী, রফিকুল ইসলাম মজুমদার, ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান কবির রিপন, চৌধুরী আব্দুল বাছিত নাহির, শফিকুল আলম মফিক, মু. শাহেদ আলী, ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি মু. আব্দুর রাজ্জাক ও সেক্রেটারী মাসুক আহমদ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নজিরবিহীন হরতাল পালনের মাধ্যমে দেশবাসী দেশ-বিদেশী আইনজ্ঞ ও সংস্থা কর্তৃক বিতর্কিত বিচারপ্রক্রিয়ার এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারকে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এটিএম আজহার সহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নায়েবে আমীর হাফিজ আব্দুল হাই হারুন ও সহকারী সেক্রেটারী মো: শাহজাহান আলী সহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় সর্বস্তরের সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বিজ্ঞপ্তি