স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট নগরী জুড়ে বসানো হচ্ছে কোরবানির পশুর অবৈধ হাট। রাজনৈতিক দলের নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় বসানো হচ্ছে এসব হাট। এসব হাটের দখল ও গরুবাহী ট্রাক নিজেদের হাটে নিতে গিয়ে ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। সোমবার বিকেল ও রাতে শাহী ঈদগাহ ও টিলাগড়ে কয়েক দফা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, এবছর সিটি করপোরেশন একটি মাত্র হাটের ইজারা দিয়েছে।
সিটি করপোরেশন ছাড়া মহানগরীতে (মহানগর পুলিশের আওতাধীন ৬ থানার মধ্যে) আরও ১০টি হাট ইজারা দিয়েছে সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রশাসন। নগরীর ভেতর সিটি করপোরেশন একটিমাত্র হাটের অনুমতি দিলেও বসানো হয়েছে অন্তত অর্ধশত হাট। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গরুবাহী ট্রাক এসব হাটে জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার বিকেলে ও রাতে শাহী ঈদগাহ এলাকায় বসানো দুটি অবৈধ হাটের লোকজনের মধ্যে দুইদফা সংঘর্ষ হয়েছে।
সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ শাহী ঈদগাহ এলাকায় বসানো উভয় হাট অবৈধ বলে জানিয়েছে। তবে শাহী ঈদগাহ (লালটিলা) হাটের পরিচালক এনাম আহমদ জানান, সিটি করপোরেশন থেকে তিনি অনুমতি নিয়েছেন। হাটের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নির্দেশে তিনি চালান কেটে ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকাও জমা দিয়েছেন।
তবে সদর উপজেলা খেলার মাঠ। যেটিতে নির্মাণাধীন শেখ রাসেল স্টেডিয়াম ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিতে বসানো হাটের পরিচালক আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম পাপ্পু জানিয়েছেন তারা কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি নেননি। প্রতিবছরের ন্যায় এলাকার লোকজন মিলে হাট বসিয়েছেন। এদিকে, সোমবার রাত ১১টার দিকে টিলাগড় পয়েন্টে বসানো কোরবানির পশুর অবৈধ হাটের কর্তৃত্ব নিয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগ নেতা আকাশ ও মুরাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে এই ধাওয়া-ধাওয়ির ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এঘটনার পর থেকে টিলাগড় এলাকায় ছাত্রলীগের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।