স্টাফ রিপোর্টার
নগরীতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের নামে অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে গতকাল সোমবার বিকেলে দরগা গেইটস্থ রাজ ম্যানশনের দোতলায় সিলেট প্রফেশনাল টেকনিক্যাল ও কম্পিউটার ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সাড়ে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোছাঃ নিপাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ইন্সটিটিউটের শিক্ষিকা কৃষ্ণা পাল জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটিতে ৭ জন শিক্ষক ও বিভিন্ন পদে ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়। প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬ মাসের জন্য জামানত হিসেবে ৫০ হাজার টাকা করে নেন চেয়ারম্যান মোছঃ নিপা। জামানতের বিপরীতে তাদেরকে ৬ মাস পরের একটি চেক দেয়া হয়। চাকুরিতে নিয়োগের পর গত দুই মাসের বেতনও তাদেরকে দেয়া হয়নি। গতকাল সোমবার সকালে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও চেয়ারম্যান নিপার স্বামী আমিনুল ইসলাম পালিয়ে যান। বিকেলে নিপাও পালিয়ে যাচ্ছেন খবর পেয়ে তারা তাকে অবরুদ্ধ করেন।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জুনেদ আহমদ ও সুমিত্র জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে একশ’র উপরে শিক্ষার্থী রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই কোর্স ফি বাবত ৩৬ হাজার টাকা করে পরিশোধ করেছেন।
এদিকে, শুধু শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকেই নয়, নগরীর বিভিন্ন এলাকার নারী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান নিপার বিরুদ্ধে।
আম্বিয়া আখতার মুনা নামের এক নারী উদ্যোক্তা জানান, ব্যবসার কথা বলে নিপা তার কাছ থেকে লাখ টাকা নিয়েছেন। এভাবে তিনি অনেক মহিলার কাছ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
নিপাকে অবরুদ্ধকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, সব মিলিয়ে সিলেট প্রফেশনাল টেকনিক্যাল ও কম্পিউটার ইন্সটিটিউট অর্ধ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে। এই টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় তারা চেয়ারম্যান নিপাকে অবরুদ্ধ করেছেন।
অভিযুক্ত নিপা জানান, তিনি পালিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ষড়যন্ত্রকারীরা গুজব ছড়িয়ে একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন।
কোতোয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নিপাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগকারীদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।